ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় - ভিটামিন ই জাতীয় খাবার কোনগুলো
ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়
শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন হলো ভিটামিন-ই। ভিটামিন ই এর অভাবে নানা
ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আজকে আমরা ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় সে সম্পর্কে জানব
।তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন এর অভাবে কি কি রোগ দেখা দিতে
পারে-
চুল ঝরে পড়েঃ ভিটামিন ই এর অভাবে চুল ঝরে পড়ে। যার কারণেই মাথায় চুলের
পরিমাণ কমে যায়। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ই জাতীয় রাখলে এই জাতীয়
সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং চুলের
ভিটামিনের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
পেশি দুর্বল হয়ে যায়ঃ ভিটামিন ই এর অভাবে বেশি দুর্বল হয়ে যায় ফলে
মায়োপ্যাথি রোগ দেখা যায়। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শরীর দুর্বল লাগে।
ভারসাম্যহীনতাঃ শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হলে স্নায়ু গুলোতে অক্সিডেটিভ
স্ট্রেস বেড়ে যায় যার কারণে শরীরে ভারসাম্যহীনতা বোধ হয়।
চোখে ঝাপসা দেখেঃ ভিটামিন ই এর অভাব হলে চোখে ঝাপসা দেখে। বিশেষ করে
রাত্রিবেলা কোন কিছুই দেখতে পায় না সামনে হাতের কাছে সবকিছু থাকলেও মনে হয় অনেক
দূরে আছে। ভিটামিন ইএর এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চোখের রেটিনাকে সুরক্ষা করে।
কিন্তু শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হলে চোখের সমস্যা দেখা দেয় এবং চোখে ঝাপসা
দেখে।
হাত পায়ের সমস্যাঃ ভিটামিন ই এর অভাবে হাত পায়ের অসারতা দেখা দিতে পারে। শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হলে হার ও দাঁত ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায় না।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়ঃ ভিটামিন ই এর অভাবে শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে শরীর দুর্বল মনে হয় এবং যে কোন ধরনের রোগ
শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
রক্তশূন্যতাঃ শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব হলে শরীর হালকা হয়ে যায় এবং রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ভিটামিন ই এর অভাবে কি সমস্যা দেখা দেয় এগুলো সম্পর্কে।
ভিটামিন ই এর উৎস কি
প্রিয় পাঠক মহোদয় এখন আমরা জানবো নিয়ে এর প্রধান উৎস কি? আমাদের শরীরে ভিটামিন
ই এর অভাব দেখা দিলে আমরা কোথা থেকে ভিটামিন ই পেতে পারি এখন আমরা সে বিষয়ে
জানব। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ই ও প্রধান উৎস সম্পর্কে-
- ভিটামিন ই এর প্রধান উৎস হচ্ছে-
- সূর্যমুখী, কুসুম ও সয়াবিন তেল
- সরিষার তেল
- বাদাম
- চিনা বাদাম, কাঠ বাদা্ম , আমন্ড
- ঘি ,মাখন
- বিট গ্রিনস , কালার গ্রিনস
- পালং শাক
- মিষ্টি কুমড়া
- পেপারিকা
- আভাকোডা
- অ্যাসপারাগাস
ভিটামিন ই খেলে কি হয়
ভিটামিন এ অনেক গুনাগুন সমৃদ্ধ। প্রিয় পাঠক এখন আমরা জানবো ভিটামিন ই খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে-শরীরের সৌন্দর্য রক্ষায় ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ভিটামিন-ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে, ত্বকের টানটান ভাব ফিরিয়ে আনতে, রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে, ত্বকের বলিরেখা দূর করতে, চুলের ড্যানড্রাফ রোধ করতে এবং চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, মাথার চুল লম্বা করতে চাইলে
এবং চুলের যত্ন সঠিকভাবে নিতে চাইলে অবশ্যই ক্যাপসুল বা ভিটামিন ই জাতীয় তেল ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি চুল বৃদ্ধি করতে চান তাহলে সপ্তাহে দুই দিন তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিক্স করে গোসল করতে যাওয়ার দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে ব্যবহার করবেন এবং গোসলের সময় শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন এতে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ভিটামিন এ ত্বকের ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন
এতে আপনার ত্বক সুস্থ থাকবে এবং ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে। অনেকেই আছেন যারা
রাতে নাইট ক্রিম ইউজ করেন তারা মশ্চারাইজার হিসেবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে
সিরাম তৈরি করতে পারেন এবং সেটা ত্বকে ব্যবহার করতে। পারেন যাদের নখের প্রবলেম
হয় অল্পতেই নখ ভেঙে যায়। তাহারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল নখের চারপাশে মালিশ করে নখ
সুস্থ রাখতে পারেন।
ভিটামিন ই ত্বকের কি কাজ করে
প্রিয় বন্ধুরা ভিটামিন ই আমাদের শরীরের জন্য,ত্বকের জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি শুনলে অবাক হবেন। ভিটামিন ই এর অভাবে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধে সৃষ্টি হয় সেগুলো আমরা অবশ্যই জেনেছি কিন্তু ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমরা এখন জানব। প্রতিদিন সংসারের কাজ করতে আমার মা বোনদের সারাদিন হাত পানিতে ভিজে থাকে যার ফলে নখগুলো দুর্বল হয়ে যায় , খালি বাসন মাজাঘষা করতে হাতের নখয় হয়ে যায় , অনেক সময় ভেঙে যায়।
অনেকে আছেন যারা নক বড় করে রাখতে ভালোবাসেন কিন্তু কাজকর্মের জন্য নক রাখতে পারেন না। আপনাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক বেশি বেনিফিটেড বয়ে আনবে। কাজে যাওয়ার পূর্বে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নকের চার পাশে মালিশ করে নিবেন এতে আপনার সুস্থ থাকবে। এবং আপনার ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হবে না।
আরো পড়ুনঃ সজনি পাতার গুঁড়া খাওয়ার উপকারিতা
ত্বকের অকাল বাধ্যতার ঠেকাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল অনেক বেশি কার্যকরী। আপনি যদি
চান আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং ত্বক নরম ও ত্বকের টানটান ভাব
ফিরিয়ে আনতে তাহলে ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করতে পারেন। অনেকে
আছেন যারা রাত্রে নাইট ক্রিম ইউজ করেন তারা ত্বকের মশ্চারাইজার হিসাবে ভিটামিন ই
ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন।
ভিটামিন ই বেশি খেলে কি হয়
শরীরের জন্য অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। ভিটামিন ই অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে
শরীরের ক্লান্তি বেড়ে যায়, প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে এবং ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা
দিতে পারে। ছাড়াও দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হয় এবং পেট ব্যথাও হতে পারে। গবেষণায়
দেখা গেছে, প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই গ্রহণ করলে মাথা ঘোরা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা
হতে পারে। প্রিয় পাঠ্য আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম ও ব্যবহার
প্রিয় বন্ধুরা নিশ্চয়ই আপনারা জানতে চান ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
সম্পর্কে। তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
কোনটি। ভিটামিন এ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভিটামিন
ই ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে রাত্রিবেলা। রাতের খাবার গ্রহণের ৪০ মিনিট
পরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে হবে। ভিটামিন ই এর সঠিক ফলাফল পেতে চাইলে অবশ্যই
আপনাকে রাতে খাবারের ৪০ মিনিট পরে খেতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
চলুন বন্ধুরা এখন আমরা ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নি-ভিটামিন ই
ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের শরীরের জন্য।
এলজাইমার্চ ডিজিজ হিসেবেঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এলজাইমার্চ ডিজিজ হিসেব ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে এলজাইমার্চ ডিজিজকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে ভিটামিন ই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন রোগের ওষুধের সাথে ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নীলে রোগের বৃদ্ধি মন্তর হয়ে যায়।
অ্যানিমিয়া রোগ থেকে মুক্তি পেতেঃ ভিটামিন এ ক্যাপসুল গ্রহণের ফলে শরীরে
লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । যা আমাদের অ্যানিমিয়া রোগ থেকে মুক্তি
পেতে সাহায্য করে।
গ্রানুলোমা অ্যানু লেয়ারঃ এটি একটি ত্বকের ক্যান্সার জনিত সমস্যা।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে ।ত্বকের ক্ষত সারাতে
সাহায্য করে।
ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধিঃ আপনি যদি ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের বলিরেখা
দূর করতে, তোকে টানটান ভাব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি উজ্জ্বল ত্বক
পেতে চান অবশ্যই ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ সকালে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
চুলের বৃদ্ধিতেঃ আপনি যদি লম্বা ঘন কালো চুল পেতে চান তাহলে ভিটামিন ই
ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিকচার করে চুলে ব্যবহার
করতে হবে। চুলে ব্যবহার করার দুই থেকে তিন ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করতে
হবে এতে আপনার চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে , চুল বড় হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিম্নে আলোচনা করা হলো। ভিটামিন ই
ক্যাপসুল অনেক উপকারী নিচে এর উপকারিতা গুলো তুলে ধরা হলো-
- ভিটামিন এ ক্যাপসুল ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে
- ত্বকের হোয়াই ট্রেনিং ক্রিম হিসাবে ব্যবহার করা হয়
- নখের ভঙ্গুরতা দূর করতে ব্যবহার করা হয়
- যৌন সমস্যার সমাধানে, শারীরিক অক্ষমতা দূর করতে এবং সহবাসের সময় বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে, ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে এবং ত্বকের টানটান ভাব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
- চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক বেশি কার্যকারী ভূমিকা রাখে
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের অপকারিতা
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর অপকারিতা রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নি-
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেমন কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া নেয়। তবে অত্যাধিক পরিমাণ ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অধিক পরিমাণে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে এলার্জিজনিত সমস্যা হতে পারে , আমাশয় রোগ দেখা দিতে পারে।
তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে মোটা হয়ে যায়। কিন্তু ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সুস্থ থাকে। যার ফলে একটু মোটা হতে পারে।
ভিটামিন ই জাতীয় খাবার কোনগুলো
প্রিয় বন্ধুরা ভিটামিন ই জাতীয় খাবার কোনগুলো সেগুলো সম্পর্কে জানা আমাদের অনেক
জরুরী। ভিটামিন ই কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের শরীরের জন্য কতটুক দরকার তা হয়তো
বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা জানবো ভিটামিন এ জাতীয় খাবারের তালিকা সম্পর্কে। শরীর
সুস্থ রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ জাতীয় খাবার রাখা জরুরি
চলুন প্রিয় বন্ধুরা জেনে নেই ভিটামিন ই জাতীয় খাবার গুলো সম্পর্কে-
ভিটামিন ই জাতীয় খাবারগুলো হল-চিনাবাদাম, আখরোট, পেস্তা বাদাম ,
উদ্ভিজ্জ তেল, কুসুম, গম, সয়াবিন তেল , সূর্যমুখী তেল , সবুজ শাকসবজি যেমনঃ
পালং শাক, বাধাকপি, ব্রকলি, কাঁচা সাল গম, বিভিন্ন ধরনের মরিচ, মটরশুটি,
লেবু, এবংআভোকডো, ডিম, স্যামন মাছ, চর্বি বিহীন মাছ, ইত্যাদি। শরীর সুস্থ,
ত্বক সুস্থ ভালো এবং চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে চাইলে এই খাবারগুলো আমাদের
খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় - ভিটামিন ই জাতীয় খাবার কোনগুলো তা বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি-আল্লাহ হাফেজ!