ধাতু রোগ কি - কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় - ধাতু রোগ কেন হয়
ধাতু রোগ কি-ভূমিকা
ধাতু রোগ পুরুষদের অত্যন্ত পরিচিত একটি রোগ। বিশেষ করে যুবক পুরুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। পুরুষদের কোন প্রকার যৌন কার্যকলাপ ছাড়াই বা পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হওয়া ব্যতীত যদি বীর্যপাত হয় তাকে ধাতু রোগ বলা হয়।
প্রসবের পর সাধারণত ধাতু বা মেহু বের হয়ে থাকে এটাই হচ্ছে ধাতু রোগ। ধাতুর সাথে যে স্রাব বের হয় তার সাথে শুক্রাণু থাকে। প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি ,ধাতু রোগ কি - কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় - ধাতু রোগ কেন হয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ধাতু রোগ চেনার উপায়। ধাতু ক্ষয় হলে কি হয়
-
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা আলোচনা করব চেনার উপায়। ধাতু ক্ষয় হলে কি হয় সে
সম্পর্কে তো চলুন বন্ধুরা আমরা মূল আলোচনায় যাই-
- খাদ্য দেখা দেয়
- শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে
- যৌন মিলনে অনিহা দেখা দেয়
- দিন দিন শরীরের ওজন কমে যায়
- কাজে মনোযোগ কমে যায়
- পিঠে ব্যথা অনুভূত হয়
- শরীর ক্লান্ত মনে হয়
- বিষণ্ণতায় ভোগে
- যেকোনো স্মৃতি ভুলে যায়
- শরীর শুকনো থাকে এবং গরম থাকে
- হাত ও পায়ের তালু গরম থাকে
- চোখ নিস্তেজ হয়ে যায়
- শরীর প্রচন্ড ঘামে
- অন্ডকোষের চারপাশে ঘাম হয়
- অন্ডকোষে ব্যথা অনুভূত হয় প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ধাতু রোগ হলে কি কি সমস্যা দেখা দেয় বা ধাতু রোগ চেনার উপায় সম্পর্কে ।
ধাতু রোগ কেন হয়। ধাতু রোগ সারানোর উপায়
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা জানবো ধাতু রোগ কেন হয়। ধাতু রোগ সারানোর উপায় সম্পর্কে তো চলুন বন্ধুরা আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং জেনে নেন ধাতু রোগ কি - কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় - ধাতু রোগ কেন হয় সম্পর্কে-
আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- ধাতু রোগের দুর্বলতার কারণ বা ধাতু রোগ কেন হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- উত্তেজনার বশীভূত হয়ে হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত ঘটালে ধাতু রোগ হয়
- সমকামিতার মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটালে ধাতু রোগ হয়
- সব সময় পেটের অসুখ লেগে থাকলে ধাতু রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- বেশিরভাগ সময় গরম বা বিলম্বে হজম হয় এমন খাদ্য গ্রহণ করলে ধাতুরূপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ভরা পেটে সহবাস করলে ধাতু রোগ হয়
- অশ্লীল ও যৌন উদ্দীপ ছবি দেখে বীর্যপাত হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং ধাতু রোগের সৃষ্টি হয়।
প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা জানলাম ধাতু রোগ কেন হয় সেই সম্পর্কে এখন আমরা জানবো ধাতু রোগ সরানোর উপায় সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেই-
ধাতুরূপ সরানোর অনেক উপায় রয়েছে তার মধ্য থেকে আমরা কিছু উপায় সম্পর্কে এখন জেনে নেব তো চলুন জেনে নেওয়া যাক-নাগ ফনী গাছঃ প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো নাগ ফনী গাছের নাম শুনে থাকবেন। এই গাছ অত্যন্ত উপকারী অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে এই গাছ ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি ধাতু রোগের সমস্যায় ভুগেন তাহলে নাগ ফনী গাছের ডাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে তার সাথে চিনে বা মিশরির রস মিক্স করে একটানা সাত দিন সকালে খালি পেটে সেবন করবেন আল্লাহর রহমতে আপনার ধাতুর রোগ ভালো হয়ে যাবে।
হাতিশুড়াঃ আপনারা হয়তো অনেকে এই গাছটির নাম শুনেছেন, গ্রাম অঞ্চলে রাস্তার ধারে , বাড়ির আশপাশে , ঝগড়ার জঙ্গলে এই গাছগুলো প্রচুর পরিমাণে জন্মে । এই গাছগুলো আমাদের জন্য অনেক উপকারী। অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের শিকড় , পান পাতা ও মধুর সাথে একটানা সাত দিন। সকাল সন্ধ্যা খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে আপনার ধাতুর সমস্যা হবে।
ভুষি ও ছাগলের দুধঃ আপনি যদি ধাতুর সমস্যায় ভোগেন তাহলে আধ ছটাক
ইসবগুলের ভুষি রাত্রে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে সকালে সেই ভুসি এক পোয়া ছাগলের
কাঁচা দুধের সাথে মিক্স করে তার সাথে পরিমাণ মতো জেনে মিশিয়ে খালি পেটে সেভেন
করতে হবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে ধাতুর দুর্বলতা সেরে যাবে এবং সুস্থতা
লাভ করবেন।
মেহেদী পাতা ও দুধঃ আপনি যদি ধাতু রোগের সমস্যায় ভোগেন তাহলে মেহেদী
পাতার রস এর সাথে দুধ ও চিনি মিশিয়ে পান করলে ধাতুর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়। ভালো ফলাফল পেতে হলে আপনাকে একটানা 1 সপ্তাহ এই ওষুধটি সকাল সন্ধ্যা সেবন
করতে হবে।
আম জাম ও তেতুলের বীজ; আপনি কি ধাতুর রোগ সমস্যা ভুগছেন? কোন টেনশন নাই
কেননা আজকে আপনাকে যে ওষুধের কথা বলব তা খেলে আপনি অবশ্যই এই রোগ থেকে মুক্তি
পাবেন। তাহলে দেরি কেন চলুন জেনে নেই। সমপরিমাণ আম জাম ও তেতুলের বীজ নিয়ে উত্তম
রূপে চূর্ণ করতে হবে এরপর এগুলো প্রত্যেক রাতে শোয়ার আগে একতলা পরিমাণ জন্য মুখে
দিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করতে হবে এভাবে তিন সপ্তাহ পান করবেন দেখবেন
আপনার ধাতুর দুর্বলতার সহ সকল ধরনের গোপন সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয়
-
প্রিয় বন্ধুরা, এখন আমরা জানবো কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় সে সম্পর্কে তো
চলুন তাহলে জেনে নেই-
- একটি কাঁচা পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে লবণ মিশিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নেবেন এরপর এক গ্লাস দুধ খাবেন এভাবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করবেন দেখবেন আপনার ধাতুরও ভালো হয়ে গেছে।
- প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আমলকির গুঁড়ো এক চা চামচ ও আখের গুড় দুই চা চামচ এক গ্লাস পানিতে মিক্স করে খেয়ে নেবেন একটানা সাত দিন খাবেন এতে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।
- দুই চামচ পরিমাণ ইসুবগুলের ভুষি রাত্রে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চামচ মধু মিক্স করে খালি পেটে খেয়ে নেবেন এভাবে 15 থেকে 20 দিন সেভেন করবেন দেখবেন আপনার ধাতুর সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।
- কস্তুরী গাছের নাম সকলেই শুনেছেন ।এটি ধাতু রোগের মহা ঔষধ। আপনি যদি ধাতু রোগের সমস্যা ভুবেন তাহলে অবশ্যই কস্তুরী গাছের পাতার রস সেবন করবেন। এতে আপনার ধাতু রোগ ভালো হয়ে যাবে।
ধাতু ক্ষয় রোগের এলোপ্যাথিক ওষুধ
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা জানবো ধাতু ক্ষয় রোগের এলোপ্যাথিক ওষুধ সম্পর্কে তো
চলুন তাহলে জেনে নিন-ধাতু ক্ষয় রোগের অনেক কার্যকারী এলোপ্যাথিক ওষুধ রয়েছে তবে
ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য সবচেয়ে ভালো ওষুধ হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এ ধীরে ধীরে
কাজ করে এবং রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি যদি এলোপ্যাথিক ওষুধ
সেবন করেন সাময়িকের জন্য ভালো ফলাফল পেলেও ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেওয়া মাত্র আপনি
আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবেন। এই জন্য ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য এলোপ্যাথিক
ওষুধ খুব বেশি কার্যকর নয়।
ধাতু ক্ষয় রোগের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা জানবো এত ক্ষয় রোগের হোমিওপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কে। ধাতু
ক্ষয় রোগের জন্য হোমিও ওষুধ সব থেকে বেশি কার্যকরী। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ধীরে ধীরে
কাজ করে তাই সুস্থ হতে একটু বেশি সময় লাগে. ধৈর্য ধরে যদি আপনি হোমিওপ্যাথিক
ওষুধ তাহলে আপনার রোগটি ভিতর থেকে ভালোভাবে সেরে উঠবে। আপনি যদি
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেতে চান তাহলে অবশ্যই ভালো হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে
পরামর্শ করবেন। এবং দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ খাবেন আপনিও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল পাব...
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
তো চলুন বন্ধুরা ধাতু ক্ষয় রোগের কিছু হোমিও ওষুধের নাম জেনে নেই-
- সেবাল সেরু
- লাইকপোডিয়াম
- সেফটিসেগ্রিয়া
- ক্যালকেরিয়া কারব
- কেলিব্রোম
- ক্যালডিয়াম সেগা
- Selenium-30
- Acid Phos-30
ধাতু ক্ষয় রোগের হামদাদ ওষুধ
প্রিয় বন্ধুরা উপরে আমরা জেনেছি ধাতু ক্ষয় রোগের হোমিওপ্যাথিক ও এলোপ্যাথিক ওষুধ সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো ধাতু ক্ষয় রোগের হামদর ওষুধ সম্পর্কে। চলুন বন্ধুরা জেনে নিই ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য হামদাদ ঔষধকতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে। ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য হোমিও ওষুধের থেকে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ওষুধ হচ্ছে হামদার্দ ঔষধ। ধাতু ক্ষয় রোগের হামদাদ ওষুধের নাম হচ্ছে জারনাইড।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
হামদাদের এই ওষুধটি সিরাপ জাতীয়। এই ওষুধের দাম হচ্ছে মাত্র ৫৫ টাকা। আপনি যদি ধাতু ক্ষয়ের রোগী হন তাহলে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ধাতু ক্ষয় রোগের হামদাদ ওষুধটি সেবন করবেন। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন, ধাতু ক্ষয় রোগের হামদার্দ ওষুধ সম্পর্কে।
ধাতু ক্ষয় রোগের গাছগাছরা ওষুধ
প্রিয় বন্ধুরা, এখন আমরা জানবো , ধাতু ক্ষয় রোগের গাছগাছরা ওষুধ সম্পর্কে
অর্থাৎ ঘরোয়া ভাবে কিভাবে আমরা ধাতু ক্ষয় রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তো চলুন
তাহলে জেনে নেয়া যাক ধাতু ক্ষয় রোগের গাছ গাছরা ওষুধ বা ঘরোয়া ওষুধ
সম্পর্কে-
প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন গাছ-গাছরা আমাদের বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত
হয়ে আসছে। বর্তমান সময়ে ও তার ব্যতিক্রম নেই। বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ও চিকিৎসা
পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার পরেও মানুষ সেই পুরাতন গাছগাছড়ার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস
রেখেছে আর বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হিসাবে গাছ গাছড়ার ব্যবহার করছে। এখন আমরা
জানবো বাড়ির আশেপাশে , আনাচে-কানাচে এবং ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠা গাছগাছরা থেকে
কিভাবে আমরা ধাতু ক্ষয় রোগ ভালো করতে পারব। তো চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে
নেওয়া যায় বিনা পয়সার ওষুধ সম্পর্কে-
নাগ ফনী গাছঃ প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো নাগ ফনী গাছের নাম শুনে থাকবেন। এই গাছ অত্যন্ত উপকারী অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে এই গাছ ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি ধাতু রোগের সমস্যায় ভুগেন তাহলে নাগ ফনী গাছের ডাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে তার সাথে চিনে বা মিশরির রস মিক্স করে একটানা সাত দিন সকালে খালি পেটে সেবন করবেন আল্লাহর রহমতে আপনার ধাতুর রোগ ভালো হয়ে যাবে।
হাতিশুড়াঃ আপনারা হয়তো অনেকে এই গাছটির নাম শুনেছেন, গ্রাম অঞ্চলে রাস্তার ধারে , বাড়ির আশপাশে , ঝগড়ার জঙ্গলে এই গাছগুলো প্রচুর পরিমাণে জন্মে । এই গাছগুলো আমাদের জন্য অনেক উপকারী। অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের শিকড় , পান পাতা ও মধুর সাথে একটানা সাত দিন। সকাল সন্ধ্যা খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে আপনার ধাতুর সমস্যা হবে।
ভুষি ও ছাগলের দুধঃ আপনি যদি ধাতুর সমস্যায় ভোগেন তাহলে আধ ছটাক
ইসবগুলের ভুষি রাত্রে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে সকালে সেই ভুসি এক পোয়া ছাগলের
কাঁচা দুধের সাথে মিক্স করে তার সাথে পরিমাণ মতো জেনে মিশিয়ে খালি পেটে সেভেন
করতে হবে। দুই থেকে তিন সপ্তাহ সেবন করলে ধাতুর দুর্বলতা সেরে যাবে এবং সুস্থতা
লাভ করবেন।
মেহেদী পাতা ও দুধঃ আপনি যদি ধাতু রোগের সমস্যায় ভোগেন তাহলে মেহেদী
পাতার রস এর সাথে দুধ ও চিনি মিশিয়ে পান করলে ধাতুর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়। ভালো ফলাফল পেতে হলে আপনাকে একটানা 1 সপ্তাহ এই ওষুধটি সকাল সন্ধ্যা সেবন
করতে হবে।
আম জাম ও তেতুলের বীজ; আপনি কি ধাতুর রোগ সমস্যা ভুগছেন? কোন টেনশন নাই কেননা আজকে আপনাকে যে ওষুধের কথা বলব তা খেলে আপনি অবশ্যই এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তাহলে দেরি কেন চলুন জেনে নেই। সমপরিমাণ আম জাম ও তেতুলের বীজ নিয়ে উত্তম রূপে চূর্ণ করতে হবে এরপর এগুলো প্রত্যেক রাতে শোয়ার আগে একতলা পরিমাণ জন্য মুখে দিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করতে হবে এভাবে তিন সপ্তাহ পান করবেন দেখবেন আপনার ধাতুর দুর্বলতার সহ সকল ধরনের গোপন সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
ওলট কম্বল গাছের ডগাঃ প্রিয় বন্ধুরা অনেকেই হয়তো এই গাছটির নাম শুনেছেন
কিন্তু গাছটি চোখে দেখেননি। আবার এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা এই গাছটির
সাথে পরিচিত। এই গাছটি আমাদের জন্য অনেক উপকারী। আপনি যদি ধাতু ক্ষয় রোগে ভুগে
থাকেন তাহলে চার থেকে পাঁচটি ওলট কম্বল গাছের ডগা তুলে এনে পরিষ্কার করে পানি
দিয়ে ধুয়ে ছোট ছোট করে কুচি করে এক গ্লাস পানিতে ৬ ঘন্টার মত ভিজিয়ে রাখব... ৬
ঘন্টা পরে সেই পানিটা ছাকনা দিয়েছে ছেকে পান করবেন এভাবে ৭ থেকে ১০ দিন পান করলে
আপনি ধাতু ক্ষয় রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
রসুনঃ অনেকেই হয়তো ভাবছেন রসুন আবার কিভাবে ধাতু ক্ষয় রোগের ওষুধ হতে
পারে। কিন্তু প্রিয় বন্ধুরা রসুন মূলত মসলা হিসেবে ব্যবহার হলেও এর প্রচুর
পরিমাণ ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে রসুন
ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনি ধাতু ক্ষয় রোগের মহা ঔষধ হিসেবে রসুন ব্যবহার করা
হয়। যদি প্রতিদিন সকালে পাঁচ থেকে ছয়টি রসুনের হওয়া বেটে সেবন করেন আপনার ধাতু
ক্ষয় রোগ ভালো হয়ে যাবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে এক মাস সেবন
করতে হবে তাহলে আপনি কার্যকারী রেজাল্ট পাবেন।
তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতা আমাদের সকলেরই পরিচিত। এটি জ্বর সর্দি কাশি সহ
অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তুলসী পাতার রস বিভিন্ন রোগের ওষুধ
হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি হয়তো জানেন না তুলসী পাতা যৌন রোগ
সরাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ধাতু ক্ষয় রোগের জন্য তুলসী পাতার রস
ব্যবহার করতে পারেন।
শিমুল গাছের শিকড়ঃ শিমুল গাছের শিকড় ঔষুধ হিসেবে অনেক কার্যকারী। এতে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। যা আপনার ধাতু ক্ষয় রোগ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা
রাখে। প্রতিদিন সকালে শিমুল গাছের শিকড় বেটে বা চিবিয়ে রস করে তার সাথে দুই
চামচ পরিমাণ চিনি মিশ্রিত করে সেভেন করলে ধাতু ক্ষয় রোগ ভালো হয়।
শেষ কথাঃ ধাতু রোগ কি - কি খেলে ধাতু রোগ ভালো হয় - ধাতু রোগ কেন হয় সম্পর্কে
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা এমন একটি রোগ সম্পর্কে আলোচনা করেছি , যে রোগটি আমাদের
দেশের যুবকদের মাঝে বিরাজ করছে , নষ্ট করছে কারো সংসার , নষ্ট করছে কারো জীবন তো
বন্ধুরা আশা করি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। যদি আর্টিকেলটি থেকে
সামান্যতম উপকার পেয়ে থাকেন অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করবেন। সকলে ভাল থাকব... আজকের মত এখানেই শেষ করছি-আল্লাহ হাফেজ!