ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৪ - ডেঙ্গুর কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন
ডেঙ্গু কি/ডেঙ্গু কিভাবে ছড়ায়
ডেঙ্গু হচ্ছে মশা বাহিত জ্বর। সাধারণত ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয় গ্রীষ্ম প্রধান দেশে ডেঙ্গু এবং ডেঙ্গু জ্বর অত্যন্ত সাধারণ ভাইরাস ঘটিত রোগ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ,পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ , ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকার বেশ কিছু অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ সব থেকে বেশি দেখা যায় মার্চ থেকে জুন মাসে। এপ্রিল মাসে ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায় এবং জুন জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা সাধারণত কমতে দেখা যায়। ডেঙ্গুর প্রাদুভাব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ।
অঞ্চল ভেদে এবং সময় ভেদে কোন কোন এলাকায় এর প্রকার আরো বেশি। ডেঙ্গু জ্বর
কিভাবে ছড়ায় এখন আমরা সে বিষয়ে জানব। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত মশার কামড়ে সংঘটিত
হয় একটি মশা যখন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত একজন ব্যক্তিকে কামড় দেয় এবং তারপরে
মশাটি আরেকজন সুস্থ মানুষকে কামড় দেয় তখন সুস্থ ব্যক্তিদের মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু
জ্বরে আক্রান্ত হয়। ডেঙ্গু জ্বর বর্ষাকালে বেশি দেখা দেয় শীতকালে ডেঙ্গু জ্বর
হয় না।
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর নাম কি
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা জানবো ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর নাম সম্পর্কে। অর্থাৎ কোন
জীবাণুর মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর বিস্তার লাভ করে আমরা সে বিষয়ে জানব। ডেঙ্গু রোগের
জীবাণুর নাম হচ্ছে-ডেঙ্গু ভাইরাস(Dengue Virus) সংক্ষেপে-DENV ভাইরাস বলা হয়
অর্থাৎ ফ্লাবি ভাইরেডি ও ক্লাবে ভাইরাস গনের অন্তর্ভুক্ত মশা যা একসূত্র বিশিষ্ট
এবং এতে আরএনএ ভাইরাস থাকে এই ভাইরাসটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসের
জন্য পাঁচটি সেরোটাইপ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে যার প্রত্যেকটি পরিপূর্ণ রোগ
সৃষ্টি করতে পারে।
ডেঙ্গুজ্বর কত দিন থাকে
প্রিয় বন্ধুরা অনেকেই গুগলে সার্চ করেন ডেঙ্গু জ্বর কতদিন স্থায়ী থাকে সে সম্পর্কে জানতে। আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আজকে এই আর্টিকেল তো চলুন বন্ধুরা ডেঙ্গু জ্বর কতদিন স্থায়ী থাকে সে বিষয়ে জানতে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩ - ডেঙ্গুর কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন এই আর্টিকেলটি পড়ে নিন। এই আর্টিকেলটিতে ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। আশা করে আর্টিকেলটি পড়বেনএবং ডেঙ্গু সম্পর্কে ভালোভাবে জানবেন।
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত চার থেকে দশ দিন স্থায়ী থাকে। ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখে দেওয়ার পরে দুই থেকে সাত দিন এই জ্বর শরীরে স্থায়ীভাবে থাকে। যেহেতু ডেঙ্গুর চারটি ভাইরাস রয়েছে সেহেতু একজন ব্যক্তি চারবার এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে ডেঙ্গু যে ভাইরাসের মাধ্যমে সংঘটিত হয় তা চার ধরনের হয়ে থাকে তাই একবার এক ব্যক্তি একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এবং এভাবে সে চারটি ভাইরাস দ্বারা চার বার আক্রান্ত হতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে যারা দিনগুলোকে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা এক থেকে দুই দিনের মধ্যে সংঘটক পণ্য অবস্থায় চলে যাচ্ছে ।
ডেঙ্গু রোগের বাহক কোন মশা
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের বাহক কোন মশা সে সম্পর্কে। তার আগে বলতে চাই আপনি যদি ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩ - ডেঙ্গুর কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়বেন কেননা আজকের এই আর্টিকেলে ডেঙ্গু জ্বর কি , কিভাবে ছড়ায় , এই জ্বর কতদিন স্থায়ী থাকে
আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় - ভিটামিন ই জাতীয় খাবার কোনগুলো সেই সম্পর্কে
এবং ডেঙ্গু রোগের বাহক কোন মশা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে তাই দেরি না করে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩ - ডেঙ্গুর কারণ ও প্রতিকার এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন। কেননা বর্তমানে সারা বিশ্বে বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে ডেঙ্গু সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা অত্যন্ত জরুরি। চলুন বন্ধুরা জেনে নিয়ে ডেঙ্গু রোগের বাহক কোন মশা। ডেঙ্গু রোগের বাহক হচ্ছে-এডিস ইজিপ্টাই জাতের মশা।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৪/ডেঙ্গুর উপসর্গ
প্রিয় বন্ধুরা আপনি কে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানেন। যদি না জেনে থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। তাহলে চলুন দেরি কেন ঝটপট করে নিন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩ - ডেঙ্গুর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি। তো চলুন প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা জেনে নেই ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ-২০২৩/ডেঙ্গুর উপসর্গ সম্পর্কে-
ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে
- জ্বর হওয়া(40°C/104°F)
- অতিরিক্ত মাথাব্যথা
- চোখের চারপাশে ব্যথা
- পেশিতে ও হাড়ের গিটে ব্যথা অনুভব করা
- বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমি হওয়া
- প্রচন্ড পেটে ব্যথা
- অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা
- ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ
- দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
- ক্লান্তিবোধ
- বিরক্তি ও অস্থিরতা বোধ করা
- গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
- ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া
- তোকে লাল ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিতে পারে
- নাক থেকে রক্তপাত হতে পারে
ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশ দিনের মধ্যে
এই লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে তবে কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগতে পারে
লক্ষণ দেখা দিতে। এটা নির্ভর করে শারীরিক অবস্থার উপর। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি
আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ সম্পর্কে।
ডেঙ্গু রোগের কারণ
প্রিয় বন্ধুরা, এখন আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের কারণ সম্পর্কে। অর্থাৎ কি কারনে ডেঙ্গু রোগ হতে পারে সে সম্পর্কে। তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক-
- ঘিঞ্চির জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করলে
- বাড়ির আশপাশে ময়লা আবর্জনা ফেলে দুষ্টিত করে রাখলে
- বাড়িতে মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার না করলে
- শোয়ার সময় মশারি না খাটালে
- বাইরে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন না করলে যেমন ফুল হাতা জামা ও মজা ব্যবহার করা
- জ্বরে আক্রান্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ না করে ওষুধ সেবন করলে। কারণ এখন জ্বর হচ্ছে মশার কামড়ে কিন্তু আপনার জ্বর হয়েছে আপনার নরমাল ওষুধ সেবন করলেন রক্ত পরীক্ষা করালেন না ডাক্তারের পরামর্শ নিলেন না তাহলে তো আপনি ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হতে পারেন।
- বিশেষ করে দিনের বেলা বস সন্ধ্যা বেলা ডেঙ্গু মশা বেশি কামড়ায় তাই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- বাড়ির আশেপাশে , যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন , এবং ঝোপঝার কম রাখুন। কেননা , দূষিত ও নোংরা ময়লা ও পানি থেকে মশা জন্মগ্রহণ করে। তাই আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান আপনার আশপাশের পরিবেশকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু জ্বরের কারণ কোনগুলো সেগুলো সম্পর্কে ।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে নতুন প্রজন্মের ভ্যাকসিনের নাম
২০২৩ সালে ডেঙ্গু ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে। ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুবারভ প্রতি বছরই দেখা যায় তবে এই বছরে অনেক বেশি। তাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হচ্ছে এর ব্যবস্থা করা। ডেঙ্গু জ্বরের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই এবং নেই কোন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। তাই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকারী ব্যবস্থা হচ্ছে ভ্যাকসিন দেওয়া।
সম্প্রতি জাপানের টা কেডা ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি ডেঙ্গুর নতুন প্রজন্মের জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন ভ্যাকসিনের নাম হচ্ছে-কিউডেংগা(টিএকে-০০৩)। এই ভ্যাকসিনটি ডেঙ্গু প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকারী এবং নিরাপদ। কিউ ডেঙ্গা ভ্যাকসিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন , যুক্তরাজ্য ব্রাজিল আর্জেন্টিনা , ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের জনগণের উপর প্রয়োগের জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর আগেও জনকের ভ্যাকসিন তৈরি করেছিলেন।
তার ভ্যাকসিনের নাম ছিল-ডেংভ্যাক্সিয়া কিন্তু এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকার কারণে এটি জনগণের উপর প্রয়োগ করতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে সকল ব্যক্তিরা পূর্বে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হননি তাদের জন্য নিরাপদ ছিল না এছাড়াও নয় মাস বয়সের কম বয়সি বাচ্চাদের জন্য এই ভ্যাকসিন উপযুক্ত ছিল না। সাধারণত এই ভ্যাকসিন দিলে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অর্থাৎ এটি হচ্ছে এই ওষুধের ভ্যাকসিন জনিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া , যা এনটি বডি ডিপেন্ডেন্ট এন্ডহেন্ডসমেন্ট নামে পরিচিত। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্যাকসিন হচ্ছে কিউ ডেঙ্গা ভ্যাকসিন যা আক্রান্ত এবং অনাআক্রান্ত সব ধরনের ব্যক্তিদের জন্য ভালো এবং চার বছর থেকে যেকোনো বয়সের মানুষ এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
কিউ ডেঙ্গা ভ্যাকসিন মূলত দুই ডোজ হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষা পেতে এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালের বেডে ভর্তি হওয়া রোধ করতে কিউ ডেঙ্গা ভ্যাকসিন অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা থাকে ১৮ মাস পর্যন্ত । তবে এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নির্ভর করে একজন ব্যক্তি শেরও টাইপের ডেঙ্গুভাইরাস দিয়ে ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়েছে তার উপর কেন না চার ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে চার ধরনের ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। যেমনঃ ডেঙ্গু সেরোটাইপ-১ ,ডেঙ্গু সেরোটাইপ-২,ডেঙ্গু সেরোটাইপ-৩,ডেঙ্গু সেরোটাইপ-৪।
ডেঙ্গু সেরোটাইপ-১ ,ডেঙ্গু সেরোটাইপ-২, তবে এই দুই ভাইরাসের জন্য এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ এবংডেঙ্গু সেরোটাইপ-৩ ভাইরাসের জন্য এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মাত্র ৪৯ শতাংশ। এই ভ্যাকসিনটি ডেঙ্গু সেরোটাইপ-৩ ভাইরাসের বিরুদ্ধে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করে না। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ২৭০ জন ব্যক্তি। এতজন ব্যক্তি মূলত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তবে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হননি।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব নয়। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩৫ হাজার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগের মধ্যে প্রায় একশো পঁচাশি জন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন। ডেঙ্গু রোগের সঠিক চিকিৎসা নির্ণয় করা সম্ভব না হলে প্রায় ৫০ শতাংশ রোগী মারা যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করতে প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ভ্যাকসিন প্রদান। তবে ডেঙ্গুর কার্যকর ভ্যাকসিন এখন আমাদের হাতের নাগালে। তাই সরকারের উচিত ডেঙ্গু ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার
প্রিয় বন্ধুরা এখন আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
সম্পর্কে তো চলুন জেনে নি-
- ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত। যেমন; পরিষ্কার জল , আখের রস , ডাবের পানি , লেবুর রস , গ্রিন টি ও কমলালেবুর রস।
- দুধ জাতীয় এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো উচিত । কেননা এ সময়ে রোগীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে তাই রোগীকে ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খেতে দিতে হবে।
- সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে দিতে হবে
- অবশ্যই এ সময়ে রোগীকে তেল ও মসলাযুক্ত খাবার এবং বাইরের ফার্স্ট ফুড থেকে বিরত রাখতে হবে।
- সঠিক পরিমাণে প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে দিতে হবে; যেমনঃ মাছ , মাংস , ডিম ও সয়াবি ন চিস এবং পনির জাতীয় খাবার খেতে দিতে হবে।
- ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কে সুস্থ করে তোলার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত
- রোগীর চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
- এবং ডাক্তারের দেওয়া টেস্টগুলো করাতে হবে
- নিজে নিজেই মাতব্বরি করে ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়
- এক্সপেরিয়েন্স জাতীয় ঔষধ গুলো সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা এ জাতীয় ওষুধ রক্তকে পাতলা করে দেয়। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩ - ডেঙ্গুর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
শেষ কথাঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৪ - ডেঙ্গুর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে
প্রিয় বন্ধুরা বর্তমানে সবচেয়ে মারাত্মক রোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু জ্বর। ২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গু ভাইরাসে এবং এর মধ্যে থেকে ১৮৫ জন ব্যক্তি আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। তাই মোটেই এই রোগটিকে তুচ্ছ ভাবা আমাদের উচিত নয়।
এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে কেননা জনগণ যদি তার চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে তাহলে মশা মাছি জন্য নিতে পারবে না এবং মশার বংশ নিধন করার জন্য অবশ্যই স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার সামঞ্জস্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করতে হবে।
এবং ঘুমানোর পূর্বে মশারি খাটানোর ব্যবস্থা ক... প্রিয় বন্ধুরা আমরা যদি সকলে
সচেতন হই তাহলে পরিবেশ সুস্থ রাখতে পারব। আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই
পরিবারের সাথে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আমি
আমার লেখা শেষ করছি-আল্লাহ হাফেজ!