খতিয়ান কি? সি এস(CS), এস এ(SA), আর এস(RS), বি এস(BS) খতিয়ান কি?- easykhobor
বন্ধুরা আপনারা হয়তো সিএস খতিয়ান এস এ খতিয়ান, আর এস খতিয়ান, বিএস খতিয়ান,সহ বিভিন্ন খতিয়ান যাচাই করার জন্য আপনাদের সঠিক তথ্য জানেন না আর আপনারা জমির খতিয়ান তোলা হয় তবেই এসব খতিয়ান ডাউনলোড করতে পারবেন। ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয়, যা ১৮৮৮ (ভূমি মন্ত্রণালয় অুনসারে ১৮৮৭) সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়।
এই জরিপ ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের ১০ম পরিচ্ছেদে অনুসারে সিলেট ও পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারা দেশে পরিচালিত হয়। উক্ত জরিপের মাধ্যমে জমির বিস্তারিত মৌজা নকশা (ম্যাপ) প্রস্তুত করা হয় এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক ভূমির বাস্তব অবস্থা, আয়তন, শ্রেণী, পরিমাণ, খাজনার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়।
খতিয়ান কি? সি এস
এ জরিপ পি-৭০ সীটে কিস্তোয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সিএস জরিপ ১৮৮৮ সালে কক্সবাজারের রামু থানা হতে আরম্ভ হয় এবং ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায় শেষ হয়। সে সময়ে সিলেট জেলা আসাম প্রদেশের অধীন থাকায় সিলেট জেলায় সিএস জরিপ হয়নি।
তবে জরুরী বিবেচনায় ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের (Sylhet tenancy Act) আওতায় সিলেট জেলার ক্যাডাষ্ট্রাল সার্ভে ১৯৫০ সালে আরম্ভ করা হয় এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর অধীনে ঐ জরিপ ১৯৬৩ সালে শেষ হয়।
সি এস খতিয়ান কি?CS খতিয়ান
শেষ খতিয়ান ১৯১০ থেকে ২০২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিন গন প্রতিটি ভূমি খণ্ড পরিমাণ করে ইহার আয়তন অবস্থান ও ব্যবহারে প্রকৃতি নির্দেশক মোজার নকশা এবং প্রতিটি ভূমিক খন্ডের মালিক দখল কারের বিবরণ সম্বলিত যে খতিয়ান তৈরি করে সেই খতিয়ান কে সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
এস এ খতিয়ান কি? SA খতিয়ান
এস এ খতিয়ান ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজা সত্য আইন পাশের পর সরকার জমিদারি অংশগ্রহণ করেন এ তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরজমিনে মাঠে না গিয়ে সি এস খতিয়ান সংশোধন করে যে ক্ষতি প্রস্তুত করেন তা এস এ খতিয়ান নামে পরিচিত।
যেকোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশিরভাগ মানুষের কাছে এসে খতিয়ান ৬২ এর খতিয়ান নামে পরিচিত।
আর এস খতিয়ান কি? RS খতিয়ান
ভূমির জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত কোন ভুলত্রুটি সংশোধন করার জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তাকে আর এস খতিয়ান নামে পরিচিত। এরপর এস এ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তাবের সময় জরিপ কর্মচারীরা ষড় জমিনে তদন্ত করেননি তবে অনেক ভুল ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে।
ঐ সমস্ত ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশে বিভিন্ন অঞ্চলের সরঞ্জামনে ভূমির মাপ করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারা দেশে এখন পর্যন্ত যে সমস্ত না হলেও অনেক জেলাতে আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরজমিনে জমির আপু কি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুল ত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়।এটাই বাংলাদেশে অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
বি এস খতিয়ান কি? BS খতিয়ান
সর্বশেষ বাংলাদেশ সরকারের জরিপ অনুযায়ী ১৯৯০ সালে পরিচালিত হয় বিএস খতিয়ান। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর এই জরিপ হিসেবে পরিচিত।তবে বর্তমানে সব জায়গাতে বিএস খতিয়ান পরিচালনা করা হচ্ছে।
জমির দাগ নাম্বার বা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে আপনি কোন খরচ ছাড়াই আপনার খতিয়ান যাচাই করতে পারেন। জমি অনলাইনে খতিয়ান ডাউনলোড করতে পারবেন এবং অনলাইন সার্টিফিকেট কপি।
সর্বশেষ কথাঃ জমির নামজারি কোথায় করবেন?
পরিশেষে জমির নামজারি করবেন তা আপনি উপজেলা ভূমি অফিস, অনলাইনে জমির নামজারি করতে পারবেন। জমির পরিমাণ দিক দিয়ে বিভিন্ন জমির নামজারি কোথায় করবেন। জমির বিএস খতিয়ান, আর এসব খতিয়ান,সি এস খতিয়ান, আর এস খতিয়ান কি এসব বিষয়ে লক্ষ্য রেখে জমির নামজারি করতে পারবেন। খতিয়ান কি এসব বিষয়ে যারা বেশি বোঝে তাদের সাথে কথা বললে ভালো হবে আপনার জন্য।