জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম everify.bdris.gov.bd

ঈদের মেহেদি ডিজাইন

পুরানো জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম everify.bdris.gov.bd আপনি কি হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম খোঁজ করছেন? আপনি যদি পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার উপায় বা নিয়ম খোঁজ করে থাকেন তাহলে আপনাকে বলব আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।


আপনি আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে পুরাতন বা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনে রূপান্তর করার সকল নিয়ম আমাদের এখান থেকে জানতে পারবেন। আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় পাঠকদের হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার উপায় এবং ডিজিটাল করার ফি,ডিজিটাল করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

সূচিপত্রঃ জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল

  • জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম
  • জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম
  • হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম
  • কোড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই
  • অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ এর আবেদনের নিয়ম
  • হাতে লেখা বা পুরোনো জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করবেন?
  • পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম

তাই আপনাদের সকলকে বলবো মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি পুরাতন বা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

বর্তমান সময়ে এমন অনেকে রয়েছে যাদের জন্ম নিবন্ধন এখনো হাতে লেখা রয়ে গেছে তারা এখন পর্যন্ত তাদের জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করেননি। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে জন্মনিবন্ধনের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। তবে আপনার কাছে যে হাতে লেখা বাবু নতুন জন্ম নিবন্ধন রয়েছে সেটি দ্বারা কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।

জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম everify.bdris.gov.bd

সেই সকল লোকদের উদ্দেশ্যে বলব যারা এখনও তাদের পুরনো বা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করেননি আপনারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনাদের পুরনো বা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন এখনই ডিজিটাল করে নিন। কারণ পুরনো বা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে এখন আর কোন কাজ করা সম্ভব হয় না।

আমাদের অনেকেরই জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অনলাইনে নাও থাকতে পারে। যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে খুঁজে পাওয়া না যায় তবে প্রথমে আপনাকে এর কারণ বের করতে হবে। এরপরে আপনার তথ্য যদি অনলাইনে ডাটাবেজের তথ্য না থাকে তাহলে আপনাকে নতুন ভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে এ ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।

আমরা সকলে একটি বিষয় খুব ভালোভাবে অবগত আছি যে পূর্বে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা। সিটি কর্পোরেশনের রেজিস্টার আমাদের জন্ম নিবন্ধনে তথ্যসমূহ সংরক্ষন করা হতো। যে হাতে লেখা তথ্য ছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জন্ম নিবন্ধন এর সকল তথ্য এখন থেকে অনলাইন ভিত্তিক করা হবে।

যার কারণে সেই তথ্যগুলো অটোমেটিক্যালি বাংলাদেশ সরকার জন্ম নিবন্ধনের সার্ভারে আপলোড করা হয়। তবে কোনো কারণে যদি কারো তথ্য সেখানে আপলোড কোন কারণে মিটিং হয় তাহলে তাকে নতুনভাবে অনলাইনে তথ্য প্রদান করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। আপনি ঘরে বসে নিজে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার তথ্যগুলো প্রদান করতে পারেন। এছাড়া আপনার ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনের জন্ম নিবন্ধকের অফিসে গিয়ে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন।

জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল everify.bdris.gov.bd

হাতে লেখা বা পুরোনো জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যদি বাংলাদেশ সরকার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজে খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার জন্ম নিবন্ধনের যে নাম্বারটি রয়েছে সেটির ১৭ ডিজিটের কিনা এবং প্রথম চারটি ডিজিট আপনার অন্য সাল।

যদি এই তথ্যগুলো সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনি জন্ম নিবন্ধন তথ্য সঠিক হওয়া সত্বেও নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে পাওয়া না যাই তাহলে নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে হবে।

হাতে লেখা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার নিয়ম

পুরনো বা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৭ ডিজিটের নাকি ১৭ ডিজিটের। আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি যদি ১৭ ডিজিটের হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে আপনাকে এটি ১৭ ডিজিটের করতে হবে।

এরপর আপনি আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার জন্য এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এখানে ভিজিট করার পরে আপনাকে নির্দিষ্ট করে আপনার ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর, আপনার জন্ম সাল এবং নিচে একটি ক্যাপচা কোড দেওয়া থাকবে যেটির যোগফল প্রদান করে আপনাকে যাচাই করতে হবে।

কোড দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

যদি আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার পরে আপনি পরবর্তী পেজে আপনার জন্ম নিবন্ধন দেখতে পান এবং আপনার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য আপনার নাম ঠিকানা বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই থাকে তাহলে আপনাকে আর জন্ম নিবন্ধন এর নতুন ভাবে আবেদন করতে হবে না।

তাহলে আপনি বুঝবেন যে আপনার জন্ম নিবন্ধন এর সকল তথ্য ইতিমধ্যে অটোমেটিক্যালি ভাবে বাংলাদেশ সরকারের জন্ম নিবন্ধন শাখায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে একটি বিষয় বলে রাখি আপনাদের যাদের জন্ম সাল ২০০০ সালের পরে তাদের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার ক্ষেত্রে আগে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার প্রয়োজন ছিল।

তবে বর্তমানে নিয়মটি এখন আর প্রযোজ্য নয় তাই এখন থেকে যে কেউ পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করা ছাড়াই আপনার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার আবেদন করতে পারবেন।অনলাইনে হাতে লেখা বা পুরাতন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার প্রথম এ জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইনে bdris.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং পুনর্মুদ্রণ করার পেজে ক্লিক করতে হবে।

এই লিঙ্কে প্রবেশ করার পরে আপনাকে নির্দিষ্ট জায়গায় আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর জন্মতারিখ বসিয়ে বসাতে হবে. এরপরে আপনার সামনে গণিতের একটি ক্যাপাচিটি সমাধান করে নির্দিষ্ট জায়গায় সার্চ বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এরপরে আপনার সামনে যে সকল তথ্য আছে সেগুলো আপনাকে গ্রহন করতে হবে। আপনার সামনে প্রদর্শিত সকল তথ্য সঠিক থাকলে নিশ্চিত বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তীতে কনফার্ম করতে হবে। আপনি পরবর্তী পেজে চলে যাবেন সেখানে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য যেমন নাম-ঠিকানা আপনার উপজেলার নাম, থানার নাম, জেলার নাম, মোবাইল নাম্বার ,জন্ম নিবন্ধন কার্যালয় নাম সিলেক্ট করে পরবর্তী পেজে কনফার্ম করতে হবে।

এক্ষেত্রে আবেদনকারীর নাম ঠিকানা উল্লেখ করার পর পরিবারের সদস্য হিসেবে আবেদন করলেন করে তথ্য পূরণ করতে হবে পরিবারের লোকদের আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর প্রদান করতে হবে। সকল তথ্য সঠিক ভাবে প্রদান করে পরবর্তীতে পেজে যেতে হবে। এবার নতুন পেজে আপনার সকল তথ্য থাকার পর আপনাকে একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি প্রদান করা হবে।

অ্যাপ্লিকেশন আইডি আপনাকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে পরবর্তীতে যেকোনো সময় জন্ম নিবন্ধন পুনর্মুদ্রণের করার সময় এই অ্যাপ্লিকেশন আইডি প্রদান করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল আপনার আবেদন পত্রের কপি একটি কপি করে সংগ্রহ করুন।

আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন নির্দিষ্ট জায়গায় আপনাকে জমা প্রদান করতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে যে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ এর আবেদনের নিয়ম

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র আবেদন পুনর্মুদ্রণ এর আবেদন জন্য আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত স্টেপ গুলো ফলো করতে হবে। তাহলে খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ এর কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

হাতে বা লেখা পুরনো জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনর্মুদ্রণ এর মাধ্যমে আপনি আপনার পুরনো হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। নিচে আপনাদের সুবিধার জন্য অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র আবেদন এর নিয়ম গুলো উল্লেখ করা হলো:

হাতে লেখা বা পুরোনো জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কিভাবে করবেন?

  • সর্ব প্রথমে আপনাকে bdris.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • bdris.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে জন্ম নিবন্ধন মেনুতে জন্ম নিবন্ধন পুনর্মুদ্রণ নেই মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন এর জন্ম নিবন্ধন নং এবং জন্ম তারিখ দিয়ে দিতে হবে।
  • এর নিচে আপনার সামনে একটি ক্যাপচা কোড আসবে যেখানে দুটি সংখ্যার যোগফল আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ঘরে লিখতে হবে। নির্দিষ্ট ঘরে আপনি যোগফলে লেখার পরে অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • তাহলে পরবর্তী পেজে আপনি চলে যাবেন যেখানে আপনার আইডি, জন্মতারিখ আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম ইত্যাদি সম্বলিত একটি ঘর আসবে এবং নির্দিষ্ট সকল ঘরে আপনার এই সকল তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • পরবর্তীতে আপনার নির্বাচন করুন এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • তারপরে পরবর্তী পেজে আপনাকে নিবন্ধক কার্যালয়ের নাম, আপনার সকল নাম ঠিকানা সম্বলিত তথ্য, ফোন নাম্বার ইত্যাদি দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • তারপরে পরবর্তী পেজে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন এর সকল তথ্য সম্পন্ন হয়েছে এমন একটি পেজে চলে আসবে এবং এই পেজে আপনাকে সংরক্ষণ করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
  • পরবর্তীতে আপনাকে এই প্রিন্ট কপি স্বাক্ষর করে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় জমা দিতে হবে।
  • আপনার আবেদনপত্রটি জমা দেয়ার দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে আপনি বাংলা ইংলিশ ভার্সন আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ পেয়ে যাবেন।

সর্বশেষ কথাঃ পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম

আশা করি আপনারা আমাদের রাজ্যের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের পুরাতন বা হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন কিভাবে ডিজিটাল করবেন সে সম্পর্কে অবহিত হতে পেরেছেন। এছাড়াও জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল সংক্রান্ত যেকোন অন্যান্য তথ্যের জন্য আপনারা আমাদের ইনবক্স করতে পারেন অথবা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন