বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের প্রবর্তক কে-easykhobor

ট্রাভেল ব্লগ এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন

বন্ধুরা বর্তমান সময়ে ছোট ছেলেমেয়েরা বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের প্রবর্তক কে এসময় যেমন খুশি তেমন সাজো নামক অনুষ্ঠানে মেতে উঠে। ব্যবসায়ীরা হালখাতা উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে পহেলা বৈশাখ। হালখাতা উৎসব মানে খদ্দেররা সারাবছর দোকানিদের কাছে বাকিতে যেসব জিনিস নেয় সেগুলো একটা খাতায় সুন্দরভাবে লেখা থাকে।

সূচিপত্রঃ বাংলা নববর্ষ

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের দিনে খদ্দেররা দোকানির কাছে থেকে মিষ্টি নিয়ে যায় আর গোটা বছরের ঋণ শোধ দিয়ে যায়। এছাড়াও ডিজিটাল যুগের পহলা বৈশাখ প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে শুরু হয়। সরাসরি যোগদান না করতে পারলেও এই উৎসবে সবাই সবাইকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে পরোক্ষভাবে এই উৎসবে যোগ দান করে।

আরো পড়ুনঃ পহেলা বৈশাখ ২০২৩ কত তারিখে বাংলাদেশে।

আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা প্রকাশ করেছি। আপনি যদি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আপনার বন্ধুদের মধ্যে অথবা প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে চান তাহলে বলবো আমাদের ওয়েবসাইট আপনার জন্য এক বড় ধরনের প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে আপনি সহজেই বিনামূল্যে ডাউনলোড করে নিতে পারেন আপনার পছন্দসই মেসেজ।

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ

বাংলা নববর্ষ ১৪২৯, পহেলা বৈশাখ ১৪২৯, বর্ষবরণ উৎসব ১৪২৯, বাংলা নিউ ইয়ার ২০২৩, বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা ২০২৩, বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা মেসেজ উইস এসএমএস বাঙালি জাতির সারাবছর কেটে যায় উৎসব পার্বণের মধ্যে দিয়ে। আমরা উৎসব প্রিয় মানুষ, আমাদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। সব উৎসবের মধ্যে পহেলা বৈশাখ উদযাপন অন্যতম। সকল বাঙালির কাছে এ উৎসব একটি গৌরবের বিষয়।

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের প্রবর্তক কে

কৃষিকাজের সুবিধার জন্য বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের প্রবর্তক মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খাজনা আদায়ে লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন এবং বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের প্রবর্তক হিসেবে ধরা হয় আকবরকে

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে "বঙ্গাব্দ" বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়।

সম্রাট আকবরের শাসনামল থেকে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও পরবর্তিতে বিভিন্ন বাঙ্গালি রীতি-নীতি আমাদের বর্ষ বরণে স্থান পেয়েছে। সেগুলোর কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো-

বাংলা নববর্ষ গ্রামীন রীতি-নীতি

গ্রামীন রীতি অনুসারে ভোর সকালে কৃষকেরা নতুন জামা গায়ে দিয়ে পরিবারের সাথে নানান পদের ভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত, পিঠা-পুলি, মিষ্টি খেয়ে দিনটি সূচনা করে। তাছাড়া, কয়েকটি গ্রাম মিলে বৈশাখী মেলার আয়োজন করতো। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য মেলায় উঠাতেন। কেউ মাছ, কেউ খেলনা, কেউবা শাড়ি-চুড়ি, চুলের ফিতা। ধারণা করা হয় আমাদের ইলিশ মাছ খাবার ঐতিহ্য এই মেলা থেকেই এসেছে।

বাংলা নববর্ষ রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল-শোভাযাত্রা

প্রতি বছর রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান থাকে। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”।

আরো দেখুনঃ বাংলা নববর্ষের ছবি

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানিয়ে ঢাকার রাস্তায় শোভাযাত্রা করে বরণ করা হয় নতুন বছরকে। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে সকলেই।

প্রাচীন বউমেলা ও ঘোড়ামেলা 

সোনারগাঁও এ ঈসা খাঁ এর আমলে বউমেলা হতো। সেখানে স্থানীয় বটতলায় কুমারী, নববধূ ও মায়েরা তাদের মনের ইচ্ছা পূরণে পূজা করতো। পাঁঠা বলি দেয়া হতো আগে। তবে এখন শান্তির বার্তার আশায় তারা দেবীর কাছে কবুতর বা পায়রা উড়িয়ে দেয়। এছাড়াও সোনারগাঁও এ ঘোড়ামেলারও প্রচলন ছিলো।

লোকমুখে প্রচলিত আছে যে, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের আগে যামিনী সাধন নামের এক ব্যক্তি নববর্ষের দিন ঘোড়া চড়ে সবাইকে প্রসাদ দিত। তার মৃত্যুর পরে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয় এবং পরবর্তীতে এটিকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন হয়। আগে মাটির ঘোড়া রাখা হতো, এরপর থেকে মেলায় নাগর-দোলা, চরকা, ঘোড়ার আকারে ঘূর্ণী দোলনা রাখা হয়।

বাংলা নববর্ষ ঘরে বসে পহেলা বৈশাখ পালন

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের প্রবর্তক এর কারণে যেহেতু সকল অনুষ্ঠান করতে মানা নেই, তাই এবার না হয় পারিবারিক মেলার আয়োজন ছোট্ট করে ঘরেই হয়ে যায়! সকাল সকালই তুলে রাখা লাল-সাদা জামায় আর পান্তা-ইলিশ আর ভর্তা খেয়ে দিনটি শুরু হোক।

বাড়ির সকলে মিলে না হয় খানিক গেয়ে নিলেন বটমূলের বৈশাখী গানটি। এ বছরের সকল জড়া-গ্লানি মুছে যেতেও তো পারে! মুড়ি-মুড়কি বানিয়ে রাখুন বিকেল জন্য। দুপুরের নানান বাঙ্গালী ভোজ হতে পারে। আড্ডায় রাখতে পারেন এই বৈশাখী ইতিহাস। দিনটি খারাপ যাবে না বৈ কী।

সর্বশেষ কথাঃ বাংলা নববর্ষ কিভাবে পালন করা হয়

বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশে এই উৎসবটি শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক‍্য হল " শুভ নববর্ষ এবারের বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ বাড়ির বাহিরে না কাটিয়ে একটু চার দেয়ালের মাঝে কাটাই।

বাংলা নববর্ষ দেশের যে এবার অমঙ্গল আর অসুখ। টক আর তিতা খেয়ে যেমন সম্পর্কের কালো ছায়া দূর করা আশা করা হয়, এবার না হয় করোনার কালো ছায়া দূরের আশা করবো। বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ বাড়িতেই কাটুক আনন্দময়। সবাইকে অগ্রিম শুভ নববর্ষ।

আরো পোস্ট দেখুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন