এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়-Affiliate marketing

বন্ধুরা বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং কথাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পরিচিত সবার কাছে। তাই এই জনপ্রিয়তার কারণে অনলাইন জগতে একটি বহুল ব্যবহৃত একটি কথা। fablet পদ্ধতি অবলম্বন করে বর্তমান সময়ে ঘরে বসে মানুষ অনলাইনে হাজার হাজার টাকা আয় করছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে।

আপনি একজন অনলাইন ব্যবহারকারী হয়ে থাকলে এ বিষয়ে জানতে পারবেন। তাই যারা জানেন না এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং মাধ্যমে আয় করতে পারবেন সেজন্য আজকের আলোচনা। আপনি কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন। যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তবে আপনি আপনার এই চ্যানেলেটি কাজে লাগিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

আরো পড়তেঃ   ফাইভ-জি কি?

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন।

বর্তমানে মার্কেটিং শুরু করার কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় নিচে আলোচনা করা হলো।

  • প্রথমত আপনি ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ পেজ খুললে রাখতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইক এবং ফলোয়ার থাকতে হবে।এফিলিয়েট মার্কেটিং পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইক এবং ফলোয়ার না থাকলে কোন কোম্পানি আপনার ওয়েবসাইটে সাথে ডিল করবে না।
  • আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভালো এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম যোগ করতে হবে। এতে করে আপনি ভালো এফিলিয়েট প্রোগ্রাম ছাড়া এটি অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ  অনলাইনে ভূমি ফি জমা দেওয়া উপায়।
  • আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ধরনের প্রোডাকশন নিয়ে কাজ করবেন তারপর নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
  • এফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে বেছে নেওয়া যে কোনো প্রোডাক্টের জন্য লিংক দেওয়া হবে এবং আপনি খুব সহজে ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করে তা থেকে ইনকাম করতে পারেন।
  • আপনার ওয়েবসাইটে শেয়ারের মাধ্যমে যতজন ওই লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্ট ক্রয় করবেন এবং তা থেকে আপনি কমিশন পাবেন এভাবে আপনি মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

এফিলিয়েট মার্কেটিং হল ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে কোন কোম্পানির পণ্যের লিংক শেয়ার মাধ্যমে আয় করা এর মাধ্যমে আপনাকে চ্যানেলের উপর ভিউয়ার যখন ভিডিও দেখবে তখন হবে অন্যের লিংক দেখতে পাবে এবং তারা যদি এই লিংকে ক্লিক করে কোন কেনাকাটা করে তবে আপনি কমিশন পাবেন।

আরো পড়তেঃ   লাভ জনক ব্যবসা কোনটি ।

এই পদ্ধতিতে আয় করার নামই এফিলিয়েট মার্কেটিং। ধরুন আপনাকে টিভি কিনলেন এরপর ওই টিভির সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে আপনার ব্লগে পোস্ট করছেন আর এই কোম্পানির লিংক শেয়ার করলেন আপনার ওয়েবসাইটে তবে এতেকরে অনেকেই এই প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে যারা আপনার শেয়ার কি তো লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্ট ক্রয় করবে তা থেকে আপনি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন।

আরো পড়তেঃ  ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করার সেরা উপায়-WordPress

আর এভাবে আপনি অনুমোদিত কোম্পানি প্রোডাক্টস এ প্রচার করে আয় করতে পারবেন। যেমন আপনার প্রচারিত লিংক প্রোডাকশন দেওয়া যাবে টিভি ফ্রিজ কসমেটিকস গণনা পোশাক ইত্যাদি লিংক শেয়ারের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা।

এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামঃ

  • ফ্লিপকার্ট প্রোগ্রাম
  • অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
  • গো ড্যাডি
  • হোস্ট গেটার এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক
  • ইবে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম

এগুলো ছাড়াও এফিলিয়েট আরো অনেক স্থানীয় প্রোগ্রাম রয়েছে যেগুলোর সাহায্যে আপনি লাভবান হতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর লাভজনক কিছু পণ্য

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক এফিলিয়েট পণ্য আছে যা আপনার মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কমিশন এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কত টাকা আয় করবেন তা নির্ভর করে আপনার নিজের ওপরে আপনি যদি আপনার কাজের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন তবে আপনি সীমিত সীমিত নয় আয়। আপনার প্রোডাক্টসের শেয়ারের মাধ্যমে যত বেশি বাড়বে ততই আপনার আয়ু বাড়বে তাই,

আরো পড়ুনঃ   মেয়েদের আংটির ডিজাইন।

আপনাকে একটি ভালো ডোমেন ও হোস্টিং কোম্পানির মাধ্যমে নিজেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য নিবন্ধন করতে হবে এতে করে আপনি আপনার ব্লক ও লিংক শেয়ারের মাধ্যমে করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে ১০ থেকে ২০% কমিশন দেয়া হবে। আপনার আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে এফিলেট মার্কেটিং এর মাধ্যমে লিংক শেয়ার করে আয় ওপার নির্ভরশীল।

কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে টাকা আয় করবেন?

আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে টাকা উত্তোলনের কোন সমস্যা নেই। আপনি আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে খুব সহজে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

আরো পড়তেঃ   ওয়েবসাইটে ফাইল আপলোড করে-অনলাইন থেকে ইনকাম

  • এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোডাক্টসও সেল এর উপর নির্ভরশীল
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছেন তার উপর এই আয়ের উপর নির্ভরশীল।
  • আপনার প্রোডাক্টস এর সেল এর পরিমাণ এর উপর নির্ভরশীল।
  • আপনি ব্লগের লাইক ফলোয়ার ও ভিউয়ার এর কমবেশির উপর আপনার আয়ের নির্ভরশীলতা।
  • আপনি যদি কোন প্রোডাক্টস দামি এবং জনপ্রিয় হয় তাহলে আয় বেশি হবে এবং এটাই স্বাভাবিক এর উপর নির্ভরশীল।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রোডাক্ট জনপ্রিয়তা ও চাহিদা অনুযায়ী আপনার আয় নির্ভরশীল করে থাকে।

এগুলো ছাড়াও উপরের কিছু বিষয় উপর নির্ভর করে আপনাকে আয় এর পরিমাণ বাড়াতে হবে নিজেকে।

সর্বশেষ কথাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার কিছু নিয়ম রয়েছে এগুলো আপনি সঠিকভাবে পালন করলে খুব সহজে আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন। আজকে আপনাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার উপায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনার ভালো লেগেছে একটু হলেও আপনার উপকারে আসবে।

তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জটিল জেনে না থাকেন তবে উপরে সকল বিস্তারিত এবং ইউটিউব এবং ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন