মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তোলার উপায় জানুন।
মোবাইলে ভালো ছবি তোলার জন্য কিছু কৌশল রয়েছে। কিভাবে মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তুলতে হয় আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। বর্তমানে আগের মতো মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বা লেন্সের ছাড়া ভালো ছবি তোলা একেবারে অসম্ভব হয়েছিল। সেজন্য এখনকার যুগে বর্তমানে প্রায় সব রকম স্মার্টফোন এর ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং রিয়েল ক্যামেরা থাকে।
যেগুলোকে আপনারা বিভিন্ন ছবি তোলার কাজে ব্যবহার করে থাকেন। তাই আপনি যদি একটি ভালো মোবাইল বা এসব স্মার্ট ফোন ফোন থাকে। আর তাতে যদি থাকে দুই একটা ভালো লেন্সের ক্যামেরা তাহলে আপনি পেতে পারেন পেশাদার কোয়ালিটির ফটোগ্রাফার হিসেবে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
সেজন্য আপনি যদি মনে করেন যে ভালো ছবি তোলার ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকে তাহলে চট করে দেখে নিন আমাদের উল্লেখ করা বেশ কয়েকটি টিপস। কিভাবে মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তোলা যায় সে সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তোলার উপায়।
মোবাইলে ভালো মানের ক্যামেরা থাকলে খুব সাধারণ ছবি তোলার কৌশল গুলো জানা না থাকলে ভালো ছবি তুলতে পারাটা কিন্তু বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে আপনার জন্য। সেজন্য আজকের এই আর্টিকেলটি আমরা আপনাকে জানাবো মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তোলার কিছু নিয়ম বা কৌশল।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পাসওয়ার্ড রিসেট করার উপায়।
মোবাইলের ক্যামেরার লেন্স পরিষ্কার রাখা।
আপনারা প্রায় মোবাইল ব্যবহার করে থাকলেও প্রায়ই বাড়ির বাইরে গেলে ব্যাগ বা পকেটে মোবাইল রাখি যা আমাদের ক্যামেরার লেন্স নোংরা ও নষ্ট করে দিতে পারে সেজন্য ছবি তোলার আগে অবশ্যই একটা নরম কাপড় দিয়ে ক্যামেরা লেন্সগুলোকে ভালোভাবে মুছে নেবেন। এবং লেন্স থেকে ধোলা ময়লা সরে গেলে আপনার ছবি ওই স্পষ্ট আসবেনা।
সঠিকভাবে ক্যামেরার ফোকাস নেওয়া।
আপনি যদি মোবাইল ফোনে ক্যামেরাতে অটো ফোকাস ফাংশনটা যথেষ্ট ইউজার এবং ফ্রেন্ডলিও নিজের থেকেই ক্যামেরা সাবজেক্ট কে বুঝে নিতে সক্ষম এমনভাবে করে রাখতে হবে। একটা ভালো ছবি পেতে গেলে আপনার ছবির যে অংশে সব থেকে বেশি ফোকাস আনতে পারে বা চাইছেন সেখানে স্কিনের উপর ট্যাপ করে ম্যানুয়াল ফোকাস নিন।
আরো পড়ুনঃ ই-কমার্স এর অসুবিধা
মোবাইলে ট্যাপ করার পর দেখবেন যে আপনার মোবাইলে স্ক্রিনের উপর ট্যাপ করা অংশটি কোন রাউন্ড বা স্কয়ার আকারে আইকন এসেছে এবং ছবি অংশটি যথেষ্ট সবথেকে বেশি স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল কম্পিউটাররে মৌলিক বৈশিষ্ট্য
মোবাইলে এক্সটার্নাল লেন্স ব্যবহার করা।
বর্তমানে অনেকে স্মার্টফোনে মডেলের জন্য আলাদা করে এক্সটার্নাল লেন্স পাওয়া যায়। আপনি সেগুলোকে নিজের মোবাইলের মডেল অনুযায়ী নান্না ধরনের অফিস আই লেন্স ব্যবহার করতে পারেন। প্লেসগুলোর সাহায্যে আপনি দারুন দারুন সব ভালো মানের ঝকঝকে মোবাইল দিয়ে ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারবেন।
মোবাইলে গ্রীড লাইনের ব্যবহার।
বর্তমানে মোবাইলে গ্রীড লাইনের ব্যবহার করার জন্য ছবি তুলতে না পারা কষ্টে ভোগেন অনেকেই।সেজন্য প্রথম প্রথম ছবি তুলতে গেলে তা একটু একটু একে একে বা হাত নড়ে যেতে পারে।তাই আপনি যাতে সোজা ভাবে ছবি তুলতে পারেন তার জন্য বেশিরভাগ স্মার্টফোনে ক্যামেরা তে গ্রীড লাইন বলে একটি ফাংশন থাকে। এ লাইনগুলোকে অনেকটা কাটাকুটি খেলার শখের মত।
আরো পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপ কম খরচে যেভাবে চলবে
এর সাহায্যে আপনি সমান্তরাল বা লম্বভাবে আপনার গ্রীড কে সোজা রেখে ছবি তুলতে পারবেন তাই গ্রীড লাইনের মজার ব্যাপার হলে এর রোল বা থার্ড কম্পোজিশনের বিষয়টি। আপনি আপনার ছবির বিষয়ে ঠিক মাঝে গ্রুপে রেখে ক্যাপচার করলে তা আপনার আকর্ষণের ছবি তুলতে সাহায্য করবে আর এই ফাংশনটিকে আপনি মোবাইল ক্যামেরা সেটিং থেকে একটিভ করতে পারবেন।
মোবাইলে ন্যাচারাল লাইট এর ব্যবহার।
আপনি যখন স্মার্ট ফোনে ক্যামেরাতে ছোট সেন্সর ঢাকাতে ঘরে কম আলোতে ছবিগুলো স্পষ্ট বা নির্ণয় আসতে পারে নিম্নমানের আসতে পারে। সেই ক্ষেত্রে এই ধরনের ক্যামেরার ফ্লাশ লাইট সেভাবে ভালো ছবি তুলতে পারেনা।আর ভালো লাইটিং আপনার ছবিতে ব্রাইটনেস বা ড্রাগনেসের মাধ্যমে ভারসাম্য নিয়ে আসার পাশাপাশি ছবির টোন মুড ও পরিবেশ কে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।তাই সবসময় একদম প্রাকৃতিক আলোর মধ্যে আউটডোর ফটো তোলার চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুনঃ মাইক্রোপ্রসেসর এর বৈশিষ্ট্য
মোবাইলে ডিজিটাল জুম ইন ব্যবহার না করা।
মোবাইলে যে কোন ছবি তোলার সময় জমিন করাটা আপনার ছবিকে একদমই নষ্ট করে দিতে পারে। এর ফলে আপনার ছবি ঝাপসা বা অস্পষ্ট আসতে পারে। তাই যে কোন ডিজিটাল জমিন করার পরিবর্তে আপনি যদি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে যেকোনো নির্দিষ্ট সাবজেক্ট কে লক্ষ্য করে ছবি তুলতে চান বা নিতে পারেন তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রপ করবেন। আপনার ছবি কোয়ালিটি খুব একটা নষ্ট হবে না সেজন্য।
মোবাইলের ছবিটা ভারসাম্য ও রাখা।
কোন ফটোগ্রাফি কম্পোজিশনের আরেকটি মজার বিষয় হলো ছবিতে সিস্টেম বা ভারসাম্য বজায় রাখা। এখানে আপনাকে এমন একটা ছবি তুলতে হবে যে যেখানে একটাকোটা ছবিতে দুই ভাগে ভাগ করা হলে দুটি ভাগে সমান সমান দেখতে লাগবে। যেমন আপনি যদি একদম সামনে থেকে কোন মূর্তির মুখের ছবি তোলা তোলেন তবে সে ধরনের ছবিতে আপনি সিস্টেমটি লক্ষ্য করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ প্রথম কম্পিউটারের নাম কি?
HDR (এইচডিআর) মুড ব্যবহার করা।
মোবাইলে এইচডি আর বা হাই ডাইনামিক রাঙ্কস হল এখানকার ঈদ মোবাইল ফোনের ক্যামেরা খুব উপযোগী একটি ফাংশন। এই ফাংশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ফটোর লাইট ও ডার্ক এইগুলোকে ডিটেলসে যোগ করতে পারবেন। এর ফলে আপনি আপনার ছবিতে একটা ভালো ব্যালেন্স এক্সপোজার পাবেন যেখানে এই মুডে আপনার আকাশে ব্রাইটনেট যেমন অতিরিক্ত বেশি হতে পারে আবার তেমনি মাটির অংশটাও খুব বেশি অন্ধকার দেখাবে না তাই এই বোর্ডের সাহায্যে আপনি দুর্দান্ত ফটো তুলতে পারবেন।
মোবাইলে নেগেটিভ স্পেস রাখা।
মোবাইলে ফটোগ্রাফি কিন্তু এক ধরনের আর্ট আর সে হার্টের একটা বড় অংশ হলো মোবাইলে নেগেটিভ স্পেস রাখা। আপনি কোন ছবির সাবজেক্টের আশপাশের বা মাঝখানে জায়গাগুলোকে সেভাবে নেগেটিভ স্পেস হওয়ার হয় কোন ছবি সাবজেক্ট আশেপাশে আপনার ফটোগ্রাফে অনেকটা ফাঁকা জায়গা রাখেন তখনই আপনি আপনার সাবজেক্টকে সহজে লোকের চোখে সামনে তুলে ধরতে পারেন। ধরা যাক আকাশ নদী খোলা মাঠ কিনবা স্টেডিয়াম হতে পারে আপনার ছবির আদর্শ মোবাইল নেগেটিভ স্পেস।
মোবাইলে ছবির বিষয়বস্তু নির্বাচন করা।
আপনি যদি মোবাইলে ছবি তুলতে চান তাহলে অনেকগুলো সাবজেক্ট বা বিষয়ে রাখা থেকে কোন নির্দিষ্ট বা ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট কে রাখার বেশি ভালো। সেজন্য বিভিন্ন পেশাদার ফটোগ্রাফদের মতে কোন ছবির ফ্রেমের একটি অংশ জায়গাতে সাবজেক্ট থাকলে বাকি দুইটিতে অংশ ফাঁকা জায়গায় নেগেটিভ স্পেস থাকলে সে ছবি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়।
আরো পড়ুনঃ লোগো তৈরী করার সফটওয়্যার
কোন সাবজেক্টকে ভালোভাবে ফুটে তুলতে চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে সাবজেক্ট কে ভালো করে ফোকাস দিতে বাদ দিয়ে বের করে আনতে।এরপর এই ছবিগুলো তোলার পরে কোন এডিটিং অ্যাপস বা সফটওয়্যার ব্যবহারে মাধ্যমে ছবিতে ফিল্টার দিয়ে অফ করে এবং ব্রাইটনেস কন্টেন্স লেভেল ঠিক করে নিতে পারেন।
মোবাইলের ক্যামেরার এক্সপোজার ম্যানুয়াল রাখা।
আপনি মোবাইল ফোনে ক্যামেরাতে প্রয়োজনে অনুরোধ চাই এক্সপোজার কমাতে বাড়াতে পারেন এজন্য কক্সবাজার ফাংশন এর মাধ্যমে আপনি ক্যামেরার লেন্স কতটা আলো প্রবেশ করাবেন সেটা এডজাস্ট করতে পারেন।আপনি মোবাইল ফোনে ক্যামেরায় স্কিনের ওপর ট্যাপ করলে যে সূর্যের স্থান আইকন দেখবেন সেটাই হলো ম্যানুয়াল এক্সপোজার। আপনি আইকন এর পাশে আসা লাইটের উপর আঙ্গুল বলে আপনি লেন্সের আলোর মাত্রা কমাতে বাড়াতে পারবেন।
মোবাইলে candid ছবি নেওয়া।
মোবাইলের ছবি তোলার মানে হল কোন একটি মুহূর্তকে ফ্রেম বন্দি করে রাখা। এর জন্য ছবির পোস্ট দিয়ে ছবি তোলাটা আমাদের স্মৃতিগুলোকে ধরে রাখার জন্য আদর্শ হলেও ছবি তোলার আসল মজা কিন্তু ক্যান্ডিডেট ছবিতে। কারণ মোবাইলে ক্যান্ডেড ছবি তোলার সময় আপনি সাবজেক্ট এর মুভমেন্ট গুলো একদম রিয়েল অবস্থাতে ক্যাপচার করবেন যা ছবিগুলোকে একদম অন্যরকম করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ মাইক্রোপ্রসেসর কি?
তাই এ ধরনের ছবিগুলোকে সাবজেক্ট আগেই আবেগ ও অনুভূতিগুলো আরো সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। এ ধরনের ছবিগুলো সেরা কাইন্ডলি ছবি নেওয়ার সব থেকে ভালো কৌশল হলো একসাথে অনেকগুলো শর্ট তুলে নেওয়া এজন্য এ ধরনের ছবিতে সাবজেক্টকে একটা নানা মুভমেন্ট করে যেতে হবে।
মোবাইলের ছবি তোলার পর প্রয়োজনে ছবি এডিট করা।
মোবাইল ফোনের ছবি কম্পোজ করা বা তোলা পরে সে ছবিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রয়োজন হলে ভালোমতো ছবি এডিটিং করা। ছবি সম্পাদনা ক্ষেত্রে ফিল্টার খুবই উপকারী ফটোগ্রাফি টুলস হিসেবে ব্যবহার করা যায় এসব ফিল্টারের সাহায্যে আপনি ছবিতে ব্রাইটনেস কনটেন্ট কন্ট্রাস ব্যালেন্স করার পাশাপাশি ছবি মোটা একেবারে পাল্টে দিতে পারে।
আরোপড়ুনঃ কম্পিউটার কী?
আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে ছবি মোবাইলের ছবি এডিট করতে পারেন ফটোশপ লাইট রুম পিকসার্ট ফেস্টন ইত্যাদি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে এডিটিং করতে পারেন।
সর্বশেষ কথাঃ মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তোলার উপায় জানুন।
মোবাইল দিয়ে আরো ছবি তোলার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন একটি মোবাইল এবং ক্যামেরাও ভালো মনের।মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তোলার উপায়। মোবাইলের মাধ্যমে সবথেকে ভালো ছবি তোলার উপায় হলো ক্যামেরা লেন্স পরিষ্কার করা, মোবাইলের ফ্লাশ ঠিক রাখা, ইত্যাদি।