টেলেক্স কি? টেলিগ্রাফ কি? কিভাবে টেলিগ্রাফ কাজ করে
বিশ্বের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য অতি সহজে ও স্বল্প খরচে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিভাবে টেলিগ্রাম কাজ করে এই যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্বে যে কোন দেশে যে কোন জায়গায় অল্প সময়ে অল্প খরচে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়। আপনি যদি টেলেক্সে কি কথা বলেন তবে দেশে বিভিন্ন দেশে আদি যোগাযোগ মাধ্যম।
সূচিপত্রঃ টেলিগ্রাফ বা টেলেক্স
বর্তমানে এটি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিলক্ষিত হয় টেলেক্স এ দেশ বার্তা প্রেরণে যদি ইচ্ছা করে তার কৃতজ্ঞ বার্তাটি পাপকের নিকটস্থ টেলিগ্রাম অফিসে পৌঁছাব মাত্র জোরালো কোণে মাধ্যমে প্রাপ্যকে জানিয়ে দিতে পারেন তবে বার্তা প্রাপকের টেলিফোন নাম্বার দিয়ে দিবেন যাতে প্রেরিত বার্তাটি তার অফিসে পৌঁছাব মাত্র বার্তা প্রাবকের টেলিফোন থেকে জানিয়ে দিতে পারেন একজন টেলিফোনার কাছে।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার উপায়-
টেলিগ্রাফ কি?
টেলিগ্রাফ হলো যে সব অফিস আদালতে কোনো জাকৃতিক মুদ্রাক্ষরিক কাজের জন্য অবিকল পতির রূপ সবসময় দরকার হয় যেসব অফিস আদালতে এ ধরনের মেশিন ব্যবহৃত হয় তবে, এটা খুব ব্যয় সাপেক্ষে বলে ছোটখাটো অফিসে এটা ব্যবহার করা সম্ভব হয় না এটা একে ক্ষুদ্রাকৃতি প্রিন্টিং প্রেস এর মত তবে টাইপগুলো হাতে উপস্থাপন করা হয়।
টেলিগ্রাফ কত প্রকার ও কি কি
টেলিগ্রাফর সংবাদ খুবই সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত আয়োজনের সংক্ষিপ্ত চিহ্ন দিয়েও টেলিগ্রাফ করা যেতে পারে।টেলিগ্রাফ সাধারণত আমরা দুই প্রকার জেনে থাকি।
কিভাবে টেলিগ্রাফ কাজ করে।
বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় টেলিগ্রাফের আবিষ্কার একটি মাইলফলক এর মত। একটা সময় ছিল দূর দূরান্তে যোগাযোগ করার জন্য মানুষের কাছে কিছু সীমিত এবং সময়সাপেক্ষ উপায় ছিল। বিভিন্ন পোষ মানা পাখির সাহায্যে মানুষ দূরে কারো কাছে খবর পাঠাতো। কিংবা কোনো দূত পাঠাতো খবর নিয়ে। এইরকম কিছু উপায় ছাড়া দূরে কোথাও খবর পাঠানো সম্ভব ছিলনা।
আরো পড়ুনঃ কম্পিউটারের কী?
এই অবস্থায় টেলিগ্রাফ এর আবিষ্কার ছিল একটা আশীর্বাদ এর মত। টেলিগ্রাফ দিয়ে মূলতঃ বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফকেই বোঝানো হয়। এটি দিয়ে বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে দূর দূরান্তে কোনো বার্তা প্রেরণ করা হত। এর সাহায্যে শুধু খবরটিকেই পাঠানো সম্ভব ছিল। কিন্তু মূল যে পত্রে খবরটি লেখা থাকত সেটি পাঠানো সম্ভব হত না।
মূলত দুটি স্টেশনের মাঝে স্থাপিত তারের মধ্য দিয়ে সংবাদকে তড়িৎ সংকেতে রুপান্তরিত করে পাঠানোর মাধ্যমে কাজ করে। টেলিগ্রাফ আবিষ্কারে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি তিনি নিজের নাম সম্বলিত কোড তৈরী করেন যেখানে মূলত প্রত্যেকটি ইংলিশ অক্ষরকে অনেকগুলা ডট ও ড্যাশের সেট হিসেবে সংকেত গঠন করে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে অনেক জটিল বার্তাকেও খুব সহজে ট্রান্সমিশন করে পাঠানো যায়।
১৮৩০ সাল থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে স্যামুয়েল মোর্স (১৭৯১-১৮৭২) ও অন্যান্য বিজ্ঞানীগণ টেলিগ্রাফ প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। ১৮৪৪ সলে স্যামুয়েল মোর্স সর্বপ্রথম টেলিগ্রাফের সাহায্যে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বাল্টিমোর,মেল্যান্ডে টেলিগ্রাফ বার্তা পাঠান। ১৮৬৬ সালের মধ্যেই আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূল হতে শুরু করে সমগ্র ইউরোপে টেলিগ্রাফের লাইন বসানো হয়।
টেলিগ্রাফের সুবিধা কি?
সংবাদ আদান-প্রদান ও লিখিত যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো টেলিগ্রাম টেলিগ্রাফ পত্রের সাহায্যে দুই পক্ষের মধ্যে সংবাদ আদান প্রদান করতে সময় দরকার হয় কিন্তু অনেক সময় সংবাদ আদান-প্রদান একটি জরুরি বিষয় হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় টেলিগ্রাফ বা টেলিগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
টেলিগ্রামের সুবিধা সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ- টেলিগ্রাফ বিশেষ করে টেলিগ্রামের মাধ্যমে জরুরি তথ্য বা সংবাদ প্রেরণ করা যায়।
- টেলিগ্রামের সাহায্যে যেকোনো সংবাদ আদান প্রদান করা যায়
- টেলিগ্রামের মাধ্যমে বার্তা বা সংবাদ অতি দ্রুত সংক্ষিপ্তভাবে প্রেরণ করা যায়।
- পত্রের সাহায্যে সংবাদ আদান প্রদান করতে হলে টেলিগ্রাফের কোন বিকল্প নেই।
- টেলিগ্রামের মাধ্যমে সংবাদ প্রেরণ করলে সংবাদ প্রাপ্তি নিশ্চয়তা আছে।
- টেলিগ্রাফ কোন ছোটখাটো অফিসে এটা ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
- টেলিগ্রাফ একটি মুদ্রাক্ষরের কাগজের জন্য প্রিন্টিং প্রেসার মতো তবে এটা টাইপগুলো হাতে লিখতে হয়।
- টেলিগ্রাফ মেশিনে তথ্য বার্তা ছবি লেখছে তো নানাবিধের ডায়াগ্রাম ইত্যাদি তাদের পাঠানো যায়।
টেলেক্স কি? টেলিপ্রিন্টার একটি
টেলেক্স মূলত টেলি প্রিন্টার টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোনের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত একটি জগতের যোগাযোগ যন্ত্র। এর সাহায্য সংবাদ প্রেরক টেলেক্সের ব্যবস্থায় তথ্য সংক্রান্ত বা অন্য কোন সংবাদ সরাসরি মুদ্রিত করে সংবাদ প্রাপকের নিকট তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছাতে পারে।
টেলেক্স যন্ত্রকে অনেকে টেলি প্রিন্টার এক্সচেঞ্জ যন্ত্র বলে থাকে। টেলেক্স যন্ত্রটি আসলে টেলি প্রিন্টারের পরিবর্তিত সংস্করণ।কে রাখছে মাধ্যমিক যে কোন স্থান হতে অতি দ্রুত লিখিত সংবাদ বা তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। ট্রেনেক্স টেলিফোন নাম্বারটি ইংরেজিতে TLX কথাটি লেখার পর লিখতে হয় যেমন টি এল এক্স TLX ৮১১৭১১।
টেলেক্স নাম্বার লেখার নিয়ম
টেলেক্স নাম্বার লেখার সময় টেলিফোন এর নাম্বার এর সাথে যোগ করে টেলেক্স এর পরিবর্তে টি এল এক্স TLX ফোন নাম্বার যেমন টেলিফোন নম্বর ৭৪১২৩৮৯ নম্বর হবে টি এল এক্স TLX ৩৫৬৪৪০৭৭। আর বাংলায় হবে ২২৬১৯১১৭।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল কম্পিউটার এর শ্রেণীবিভাগ কয়টি?
টেলেক্স ব্যবহারের নিয়ম
টেলেক্স যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবসায় যন্ত্রটি প্রাকৃত কক্ষে টেলি প্রিন্টার টেলিগ্রাফ টেলিফোনের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত একটি যোগাযোগ আধুনিক যন্ত্র। টেলেক্সের যন্ত্রকে অনেকেই টেলিটক প্রিন্টার এক্সচেঞ্জ সার্ভিসও বলে থাকেন। অবশ্য এ কাজ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এর মতোই এতে টেলিফোনের পরিবর্তে টেলিপ্রিন্টার ব্যবহার করা হয়।
এলেক্স যন্ত্রটি আসলে টেলিফিন্টারের টেলি প্রিন্টারের পরিবর্তে সংরক্ষণ। টেলেক্সের মাধ্যমে telek এর মাধ্যমে যে কোন স্থানে অতি দ্রুত লিখিত সংবাদ বা তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।
টেলেক্স এর মাধ্যমে কোনটি পাঠানো হয়
টেলেক্সর প্রেরিতব্য সংবাদ কাগজে লিখিত নিতে হয় এবং টাইপ মেশিনের মত টেলি প্রিন্টারের টাইপ করলে তা ওপর প্রান্তে অর্থাৎ যার নিকট বার্তা প্রেরণ করা হয় তার টেলেক্স যন্ত্রের কাগজে প্রিন্ট বা ছাপা হয়ে বের হয়। একইভাবে অপরপ্রান্তে হতেও পুনরায় প্রেরিত বার্তার উত্তরপত্র পাওয়া যায়।
এতে সংবাদ বা বার্তার অনলিপি বা প্রতিলিপিক্সের উভয় প্রান্তে টেলি প্রিন্টারের মাধ্যমে আদান প্রদান করা যায়। ইলেকশন নম্বর লেখার সময় টেলিফোনের নাম্বারের সাথে টেলেক্স যোগ করা যায়। টেলেক্সা নাম্বার লেখার সময় টেলিফোন এর নাম্বার সাথে যোগ করে টেলেক্সের পরিবর্তে টি এল এক্স TLX +ফোন নাম্বার যেমন টেলিফোন নাম্বার 9016524 এর নাম্বার হবে টিএলএক্স TLX ৯০১৬৫২৪ আর বাংলাতে হবে টেলেক্সে TLX -৯০১৬৫২৪
সর্বশেষ কথাঃ টেলেক্স কি? টেলিগ্রাম কি?
টেলেক্স হল চেরিফোড়ের ন্যায় যোগাযোগের মাধ্যম কে লিখেছে মাধ্যমে আপনি খুব সহজে তথ্য আদান-প্রদানসহ এই যন্ত্রটি প্রায় টেলি প্রিন্টার টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন সমন্বয়ে একটি আধুনিক যোগাযোগ যন্ত্র যার টেলিপেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লেখছে সংবাদ বা বার্তা মান মোনালিপি বা প্রতিরোধেছে উভয় প্রান্তে টেলিফোনের মাধ্যমে আদান প্রদান করা যায় একটি টেলেক্স নাম্বার ব্যবহার করে।
টেলেক্স কি? টেলিগ্রাফ কি? অপরদিকে টেলিগ্রাম হল একটি বিশেষ ব্যবস্থা যার টেলিগ্রামের মাধ্যমে অতি দ্রুত সংবাদ আদান প্রদান করা যায় এর ভয়াবহুল অনেক বেশি তাই এর সুযোগ সুবিধা ও অতি জরুরি তথ্য বা সংবাদ প্রেরণ করার জন্য।