টেলিফোন কি? টেলিফোন এর কাজ কি?টেলিফোন ব্যবহারের নিয়ম।
বর্তমানে টেলিফোন এমন একটা আধুনিক যন্ত্র যার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ততম সময়ের যেকোনো তথ্য বা সংবাদ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া হয়। যেমন মনে হয় ফেরত এবং গ্রাহক কিন্তু পাশাপাশি বসে কথা বলছে। টেলিফোন ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগের ফলে মোবাইল আলাপ আলোচনা করে যে কোন বিষয়ের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
সূচিপত্রঃ টেলিফোন
টেলিফোন স্বল্প সময় স্বল্প ব্যয়ের যোগাযোগের স্থাপনের সু-বিধার কারণে এই যন্ত্রটি টেলিফোন ব্যবহারের দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উন্নত প্রযুক্তি ও টেলিফোন আজ বর্তমান সমাজে মানুষের জীবনে প্রতিক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য। টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে প্রচলিত এবং অধিক ব্যবহৃত হচ্ছে। টেলিফোন ব্যবহারের ব্যবহারকারী উভয়ের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমে পারস্পরিক যে আচার ব্যবহার বিনিময় হয় তাই হল টেলিফোন।
টেলিফোন কি?
টেলিফোন হল ইংরেজি শব্দ এর বাংলা আবেদনের অর্থ হচ্ছে দূরা লাপনি। বৈদ্যুতিক তারের সাহায্যে দূরবর্তী লোকের সাথে কথা বলার যন্ত্র হচ্ছে টেলিফোন। টেলিফোন এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে অতি অল্প সময়ে
যে সংবাদ বা তথ্য পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যেকোনো স্থানে প্রেরণ করা যায়, এবং পরস্পরের সাথে আলাপ আলোচনা করে,যে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। সুতরাং টেলিফোন সর্বপ্রথম অপরাধের কাজ হল দূরে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
মোবাইল ফোন কি
মোবাইল শব্দের অর্থ হচ্ছে ভ্রাম্যমান। অর্থাৎ টেলিফোনে ন্যায় যে যন্ত্রের সাহায্যে তার ছাড়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যে কোন স্থান থেকে সংবাদ প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায় তাকে মোবাইল ফোন বলে। টেলিফোনে উন্নত সংস্করণ হল মোবাইল ফোন।
আজকাল মোবাইলের মাধ্যমে অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে হাটে বাজারে গ্রাম শহরে যোগাযোগ স্থাপন করা হয় খুব সহজেই।মোবাইল ফোন (ইংরেজি: Mobile phone) এক ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে বেতার তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
“মোবাইল ফোন” শব্দদ্বয় দ্বারা একই সঙ্গে মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন ব্যবস্থা এবং গ্রাহকের ব্যবহার্য হ্যাণ্ডসেট বোঝানো হয়ে থাকে। এই হ্যাণ্ডসেটকে মোবাইল ফোন ছাড়াও সেলফোন, হ্যান্ড ফোন এবং বাংলায় মুঠোফোন হিসাবে অভিহিত করা হয়।
টেলিফোন নাম্বার কয়টি
মোবাইল নম্বর: "+৮৮০-১ট-সসসস-সসসস" টেলিফোন নম্বর: (ঢাকায়) "+৮৮০-২-ট-টটটট-টটটট" বাংলাদেশ টেলিফোন নম্বর ঃ +880-2-6-4200-4200
টেলিফোন এর কাজ কি?
টেলিফোন ব্যবহারের ফলে আগামীর তথ্য প্রযুক্তের উন্নতির যুগে বৈদ্যুতিক যোগাযোগ মাধ্যম স্থাপন এবং কালকে জয় করে সারা বিশ্বকে যে একে পরিবারের বন্ধ করেছে তাহলে টেলিফোন আর টেলিফোন যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত বিশ্বের ব্যবসায় টেলিফোন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ।
যেকোনো স্থানে টেলিফোন যে কোন স্থানে প্রেরণ করা যায় এবং অপরপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় এটাই হল টেলিফোনের প্রধান কাজ।
টেলিফোনে সর্বপ্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে দূরে মানুষের সাথে যোগাযোগ করা।
টেলিফোনের মাধ্যমে সরাসরি পৃথিবীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অতির দ্রুত এবং অল্প সময়ে দ্রুত গতিতে তথ্য সংবাদ প্রেরণ এবং সাথে সাথে যোগাযোগ গ্রহিতের কাছ থেকে উত্তর পেতে সাহায্য করে।টেলিফোন যন্ত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে ফোন ব্যবহৃত হয়।
ফ্যাক্সের মাধ্যমে সংবাদ ছবি লিখিত লেখচিত্রে ডায়াগ্রাম ইত্যাদি অন্যত্র প্রেরণ করতে টেলিফোন ব্যবহৃত হয়।কম্পিউটারের মাধ্যমে ইমেইল পাঠাতে হলেও টেলিফোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুতরাং টেলিফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিশ্বে যোগাযোগের সর্বক্ষেত্রে টেলিফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসে।
টেলিফোন ব্যবহারের নিয়ম
টেলিফোন শব্দটি এসেছে ইংরেজি ভাষা থেকে এর বাংলা ও প্রতিশব্দ দূরালাপনি।টেলিফোনের মাধ্যমে দূরবর্তী মানুষের সাথে কথা বলা যায় এবং এর মাধ্যমে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলো হল
- টেলিফোন ব্যবসায়িক কথা বলার সবচেয়ে দ্রুত ও অসম্ভাবীয় মাধ্যম।
- টেলিফোনের মাধ্যমে অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে পৃথিবীর যেকোন স্থানে যোগাযোগ করা যায়।
- টেলিফোন ব্যবহারের ফলে ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে।
- ব্যক্তি জীবনে সময়ের অপচয় রোধ করে।
- টেলিফোনের আধুনিক গানের ফলে দেশে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি পায়।
- টেলিফোন ব্যবহারের ফলে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ অসুবিধা বেড়েছে।
- টেলিফোন ব্যবহারের কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এর সুবিধা বেড়েছে আইএসডি ইন্টারন্যাশনাল সাবস্ক্রাইবার ডার্লিং এর মাধ্যমে যে কোন দেশ থেকে অন্য দেশে যোগাযোগ করা যায়।
- টেলিফোন ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিধি সুদূরপ্রসারী ও সম্প্রসারিত করা যায় বর্তমানে।
- টেলিফোন আলাপকালে সূচনা মূলক যেসব কথাবার্তা বলা হয় সেগুলো হল
- টেলিফোনে আলোচনা করার পূর্বে যোগাযোগকারীর চিন্তাকে সম্বোধন করে নিতে হবে।
- টেলিফোন ডাইরেক্ট সে দেখে সঠিক নাম্বার ডায়াল করতে হবে।
- ভুল নাম্বার সংযোগ হলে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
- টেলিফোনে রিসিভ করার পূর্বে প্রথমে নিজেও প্রতিষ্ঠানের পরিচয় জানানো।
- টেলিফোন ব্যবহারের অতি মনোযোগের সাথে কথোপকথন করা।
- বক্তব্যের সহজ অর্থবোধক শব্দগুলো পূর্বে নির্বাচন করে নেওয়া।
- বক্তব্যের মূল বিষয় সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে হবে।
- নিজ ধারণাকে সহজে বোঝার জন্য সংক্ষিপ্তভাবে তৈরি করে নিতে হবে।
- টেলিফোন ব্যবহারের সময় ভাষার অলংকার বা দিতে হবে।
- ফোনে কথা বলার সময় নিজের বক্তব্য না বলতে চেষ্টা করতে হবে।
- টেলিফোনে ধ্বনি গত ভাবে করা শব্দ অতি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
- টেলিফোন ব্যবহারের বারবার হ্যালো সম্বোধন না করা।
- মৃদুস্বরে কথা বলা অতি উচ্চ কর্কশ রাগান্বিত ও অতি নিম্নচরে কথা না বলা।
- টেলিফোন ব্যবহারের কথা বলার সময় বারবার হ্যাঁ না হ্যালো আচ্ছা ইত্যাদি বলে শ্রোতাকে বিরক্ত না করা।
- টেলিফোন ব্যবহারের সংক্ষিপ্তভাবে সংলাপ বা আলাপ শেষ করে অন্যকে আলাপের সুযোগ দেয়া।
- টেলিফোন ব্যবহারের সময় বক্তব্য শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য শেষ করা।
সর্বশেষ কথাঃ টেলিফোন ব্যবহারের নিয়ম।
টেলিফোন হতে অল্প সময় অল্প এসএমএস যে কোন স্থানের সংবাদ বা তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় জগতকে করেছে সম্প্রসারিত। তাই টেলিফোনের সাথে মানুষের বস্তুগত ব্যস্ততম জীবনের যোগাযোগ হিসেবে জীবনকে করেছে গতিশীল ও ছন্দময়।
আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগের সর্বক্ষেত্রে টেলিফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।সে থেকে টেলিফোন ব্যবহারের নিয়ম, টেলিফোন এর কাজ সমূহ আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।