বিকাশ প্রতারণা হলে করণীয়।মোবাইল প্রতারণা কি-easykhobor

বিকাশ প্রতারণা শিকার হলে কি করবেন। বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থেকে জানা না হয় এই ধরনের কোন পরিস্থিতি সম্মুখীন হলে দ্রুত সম্ভব ১৬২৪৭ এই নাম্বারে কল করে কিংবা বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিংফুড ম্যানেজার টিমকে সাপোর্ট অ্যাড বিকাশ Support@bkash.com এ ইমেইল করে রিপোর্ট করতে হবে।

বিকাশ প্রতারণা কারী একজন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হ্যাক করার জন্য আপনাকে কিছু তথ্য চাইবে, ব্যালেন্স চেক করুন ,আপনার একাউন্টে কিছু টাকা গেছে এই কথা বলে আপনার সাথে কাস্টমার কেয়ার এর লোক বলে তথ্য সংগ্রহ করে আপনার দুর্বলতা সুযোগ নিয়ে বিকাশ প্রতারণা করে থাকে।

সূচিপত্রঃ বিকাশ প্রতারণা

আজকে আপনাদের বিকাশ প্রতারণা করা এবং কিভাবে প্রতারণা করে একটি বিকাশ একাউন্ট থেকে কিভাবে টাকা তুলে নেয় তা বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরব। বিকাশ প্রতারণা করলে তা কিভাবে সমাধান করবেন তা জানতে পারবেন।

বিকাশে প্রতারিত হলে কি করবেন

বর্তমান সময়টা অনলাইনে কেনাকাটা যোগ বা একই স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানো অন্যতম হলো বিকাশ সে ক্ষেত্রে বিকাশ জনপ্রিয়তার একটি অন্যতম মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং।

বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতিদিন ঘুরছে অহরহ বিকাশ প্রতারণা ঘটনা। এই প্রতারনা চক্র অত্যন্ত সুকৌশলে হাতে এনেছে বহু টাকা।মোবাইল ব্যাংকিং বিশেষ করে বিকাশের মাধ্যমে এ প্রতারণা করছে সবচেয়ে বেশি তাই সারা দেশে বিকাশের এরকম হাজারো চক্র আর প্রতারক সিন্ডিকেট রয়েছে।

বিকাশ প্রতারণা যেভাবে করে।

বিকাশ প্রতারণা মূলত খুঁজে বার্তা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে এই কাজটি করা হয়। ভুল করে বিকাশে টাকা চলে গেছে এরকম কথা বলে সে আমাকে টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় গ্রাহকের ফোনে কল দিয়ে অনেক আপত্তি মিনতি করে টাকা হাতে নেয় একটি চক্রটি।

বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে বিকাশ প্রতারণার কারণে একটি চক্রকে আটক করেছে পুলিশ।পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে কালেই রহমান নামে এই জন প্রতারণ চক্রের তাদের বিকাশ প্রতারণা কোশোল কাজের ধরন নিয়ে কিছু চঞ্চলা কর তথ্য দিয়েছেন।

বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় যেসব করণীয়।

  • মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ অবশ্যই ভালো বিশ্বস্ত বিকাশ এজেন্ট এর কাছ থেকে টাকা পাঠাবেন।
  • মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এ টাকা পাঠানোর সময় লক্ষ্য রাখবেন পাশে কেউ আপনার অনুসরণ করছে কিনা। সে ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
  • আপনার প্রেরিত টাকা অংক সঙ্গে সঙ্গে বা টাকা পাঠানোর আগে প্রপতি জানিয়ে দিন।
  • দ্বিতীয়বার মোবাইলে কোন মেসেজ আসলে সেটি যাচাই করুন এবং ব্যালেন্স চেক করুন।
  • কোন ব্যক্তির বিকাশ টাকা ভাঙাতে আসলে সে ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন প্রয়োজনে তার জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি রেখে দিন।
  • প্রতিটি লেনদেনের পর বিকাশ থেকে পেত মেসেজের মাধ্যমে পাওয়া ব্যালেন্স ইনফরমেশন এবং আপনার কাঙ্খিত ব্যালেন্সের মিল আছে কিনা সেটা যাচাই করুন।
  • আপনাকে লটারি জেতা পুরস্কার বা প্রতিযোগিতায় জেতা এ ধরনের কোন মেসেজ বা ফোন করলে সারা দিবেন না।
  • বিকাশে খেয়াল রাখতে হবে টাকা পাঠানোর কোন মেসেজ এর ওপর ও বিকাশ লেখা থাকবে, কিন্তু ফরওয়ার্ডিং কৃত মেসেজ কখনো বিকাশ লেখা থাকে না একটি মোবাইল নাম্বার অযথা দিয়ে দেয়।

বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা হারিয়ে গেলে করণীয়।

বিকাশ একাউন্ট থেকে বিকাশ প্রতারণা এর মধ্যে টাকা হ্যাক হয়ে গেলে, আপনার উচিত বিকাশ কল করা, বিকাশ হেল্পলাইন এর যোগাযোগ করার জন্য, আপনাকেও হ্যাকা হয়ে যাওয়া টাকা ব্যাপারে জানালে বিকাশ একটি অভিযোগ নেবে, এবং আপনার অভিযোগ একাউন্ট থেকে যে একাউন্টে টাকা গেছে সে ব্যাপারে একটি অভিযোগের মাধ্যমে টাকা লক করে রাখার ব্যবস্থা করবে।দুঃখজনক হলে সত্ত্বেও যে হ্যাকাররা অত্যাধিক চালাক হয়ে থাকে এবং লেনদেন করার সাথে সাথে টাকা অন্য মোবাইল ব্যাংকিং এর টাকা ট্রান্সফার করে দেয় এ কারণে হ্যাক হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা একেবারে কম।

পরবর্তীতে এক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের কার্যকলাপ না হয় সে কারণে খুব দ্রুত আপনার বিকাশ একাউন্টে পিন নাম্বার পরিবর্তন করুন এই নাম্বার পরিবর্তন করলে আপনার একাউন্টে আপাতত নিরাপদ থাকবে।বিকাশ পিন নাম্বার সেট করার ক্ষেত্রে কোন ভাবে আপনার মোবাইল নাম্বারে শেষ ডিজিট জন্ম তারিখ জন্ম সালকে মন কোন সেট করবেন না অযথ জটিল এবং নাম্বার ব্যবহার করলে ভালো।

মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা হলে যা করবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারিত হলে প্রতারণকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এছাড়া সম্পত্তির ঢাকা মহানগর পুলিশ হওয়া হ্যালো city apps এ গিয়ে সাইবার ক্রাইম অথবা অন্তর দেশে অপরাধ জালিয়াতি অপশনে ঢুকে আপনার অভিযোগটি সরাসরি লিখুন।

বিকাশ থেকে টাকা হারিয়ে গেলে করণীয়।

বিকাশ থেকে টাকা হারিয়ে গেলে করণীয় কি এ ব্যাপারে অনেক সুইস্পষ্ট কোন ধারণা থাকে না মূলত নতুন কাউকে টার্গেট করে যারা ইতিমধ্যে কোন প্রতারণা কিংবা হ্যাকিং এর শিকার হননি সুতরাং এ বিষয়টি অনেকটাই পরিষ্কার যে টাকা হ্যাক হওয়া ব্যক্তি বিকাশ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। যদি কোন এ বিষয়ে ধারণা থাকতো তাহলে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক কিংবা বিকাশ থেকে টাকা হ্যাক হওয়া সম্ভব হতো না। বিকাশ দা সতর্কতার জন্য আপনার এই পোস্টটি বিস্তারিত তথ্য ও সহকারে উপস্থাপন করছি এ সমস্ত বিকাশ কাল্টের কাছে এখন থাকতে সহযোগিতা করবে।

বিকাশ একাউন্ট হ্যাক কিংবা বিকাশ থেকে টাকা হ্যাক মূলত একটি প্রতারণমূলক পদ্ধতি যা আপনার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। কোন ব্যক্তি অথবা কোন হ্যাকারের পক্ষে আপনার বিকাশ একাউন্ট করার কিংবা আপনার বিকাশ থেকে টাকা হ্যাক করা সম্ভব নয় মূলত একজন হ্যাকার আপনার কাছ থেকে আপনাকে কিছু তথ্য বিকাশ একাউন্ট এর তথ্য জেনে নিয়ে আপনার অনিচ্ছায় আপনারা করে থাকেন।

বিকাশ প্রতারণা হলে করণীয়

বিকাশ একাউন্টে তথ্য আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তাই এ তথ্য অন্য কারো জানার কথা নয় আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত তথ্য না জেনে অন্য কাউকে আপনার একাউন্টের ব্যবহার করতে পারবে না কিংবা টাকা হ্যাক করতে পারবে না সুতরাং একটি হ্যাকার কিভাবে আপনার বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের টাকা হ্যাক করে থাকে।হেকাররা বিভিন্ন পলিসি কিংবা বিকাশে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিনিধির কাছ থেকে আপনার একাউন্টের লেনদেন তথ্য সংগ্রহ করে থাকে মনে করুন আপনারা একাউন্টের সম্পদ ঠিক সময় ১০ হাজার টাকা বিশ হাজার টাকা ক্যাফিন হয়েছে ক্যাশ ইন হ

এই তথ্য সরাসরি বিকাশ এজেন্ট কাছ থেকে কিনবা বিকাশ কর্মরত কর্মকর্তার কাছ থেকে সকল তথ্য ও সংগ্রহ করতে পারেন আপনাকে ফোন করে এবং আপনার একাউন্টে লেনদেনের তথ্যগুলো শেয়ার করবে তথ্য শেয়ারের মাধ্যমে আপনার কাজ থেকে ওটিপি কিংবা পিন জানতে চাইবে।

এই পিন কিংবা ওটিপি জানতে চাওয়ার জন্য তারা আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবে কিংবা আপনার একাউন্টে সমস্যা আছে। এ ধরনের তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে আপনার দুর্বলতায় এ কাজে লাগিয়ে। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নেবে তারা আপনি যদি এসব তথ্য শেয়ার না করেন বা না বলেন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট কোন ভাবে হ্যাক করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা হ্যাক করা সম্ভব হবে না তাদের।

সর্বশেষ কথাঃ বিকাশে প্রতারিত হলে করণীয় কি?

বিকাশ একাউন্ট হলো একটি ব্যক্তিগত একাউন্ট। মোবাইল ব্যাংকিং এই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন রকমের সুযোগ-সুবিধা সহ কেনাকাটা, বিদ্যুৎ বিল, এবং প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারেন। সেই সকল কাজে ফাঁকে আপনাকে প্রতারণ বিকাশ প্রতারণাকারী তার আপনাকে কিছু ভুলভাল তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবে এবং তা আপনি সঠিকভাবে দিলে সেগুলোর মাধ্যমে আপনার সাথে প্রতারিত করবে।

বিকাশ প্রতারণা জন্য একাউন্ট থেকে টাকা হ্যাক করে নিয়ে নেবে তারা এবং পরবর্তীতে আপনার টাকা আর খুঁজে নিরাপদে আপনার একাউন্টে আনতে পারবেন না। বিকাশ এর মোবাইল ব্যাংকিং তাদের কিছু টাকা পাঠানো কিছু লক্ষনও দিয়ে থাকে সেগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে আপনিও সেভ এবং নিরাপদ থাকবে না আশা করি আপনার এয়ারটেল টিভি করে এবং জানতে পেরে ভালো লেগেছে। আপনি একটি শেয়ার এর মাধ্যমে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন