আশুরা কী? ১০শে মহরম গুরুত্ব ও তাৎপর্য।
আশুরা বা ১০শে মহরম মূলত একটি শোকাবহ দিন কেননা এই দিনে নবী করিম মোহাম্মদ এর দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলী নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছেন। তাই এর বিভিন্ন দিক তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ তাই একে বলা হয়। আশুরার ১০শে মহরম দিনে আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
সূচিপত্রঃ ১০শে মহরম বা আশুরা
আশুরা দিনটি মুসলমানদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি এর তাৎপর্য অপরিসিম আরবি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ মহরম মাসের প্রথম ১০শে মহরম তারিখে মুসলমানদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ দিন এই দিনটি আশুরা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত।
আশুরা কী?
আরবি ইসলামিক বর্ষপঞ্জিতে যে চারটি মাসের মুসলমানদের দৃষ্টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিন আশুরা। এই দিনটি ১০শে মহরম হিসেবে বিবেচিত হয়। তার মধ্যে মহরম মাস আশুরা অন্যতম ১০শে মহরম দিনটিকে বিশেষ মর্যাদায় দৃষ্টিতে দেখে মুসলমানরা। ১০শে মহরম ইসলামের ভেতরে দুটি মত সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের কাছে আশুরার দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।
মুসলমানরা বিশ্বাস করেন য়ে, এই দিনটিতে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে এবং এই দিনটি পৃথিবীর ধ্বংস হবে বলে বিশ্বাস করেন। যেটি মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী কেয়ামতের দিন হিসেবে ধরে থাকেন তারা ১০শে মহরম তারিখে।
আশুরার বা ১০শে মহরমের ইতিহাস ।
৬৮০ সালে এই দিনটিকে বর্তমানে ইরাকে কারবালার নামক স্থানে ইসলামের নবী মোহাম্মদ এর দৌহিত্র হোসেন ইবনে আলীকে যিনি ইমাম হোসেন হিসেবে পরিচিত প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হন।
১০শে মহরম এরপর থেকে এই ঘটনাটিকে যুক্ত করে আশুরা পালন করা হয় এবং বিশেষ করে এ শিয়া মতাবলম্বীরা এই ঘটনাটিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। সুন্নি মতালম্বীদের কাছে ও এই ঘটনাটি গুরুত্বপূর্ণ বহন করে থাকে।
আশুরার গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য ।
আশুরার বা ১০শে মহরম দিনটি মুসলমানদের অনেকে রোজা রাখেন । তারপরে অনেকেই আশুরার আগের দিন এবং পরের দিন রোজা পালন করে থাকে। ইসলামের চিন্তাবিদদের মতে রমজান মাসে চালু আগে আশুরার রোজা পালন করা বাধ্যতামূলক ছিল ১০শে মহরম তারিখে।
সুন্নি মুসলমানদের অনেকে ১০শে মহরম বাড়িতে ভালো খাবারের আয়োজন করে এবং বাংলাদেশে অনেকেই মাঝে এর কথা প্রচলিত আছে। ইসলামে প্রচলিত আছে এই দিনটি মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, এই দিনটিতে ইসলামের নবী মোহাম্মদের পরিবারে যেসব সদস্য ১০শে মহরম মারা গেছেন তাদের জন্য দোয়া পাঠ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আশুরার তাজিয়া মিছিল।
১০শে মহরম মুসলমানদের ইসলামের ইতিহাসের সুন্নি ও শিয়া মুসলমানরা দিনটিকে যেভাবে পালন করেন সেটি বেশ চোখে পড়ার মতো। তারা বিভিন্ন জায়গায় ১০শে মহরম তাজিয়া মিছিল বের করে থাকেন এবং ১০শে মহরম দেশের শিয়া মতাবলম্বীরাও তাদের নিজেদের শরীরে আঘাত মেরে কষ্ট অনুভব করেন।
নবী মোহাম্মদের দৌহিত্র হোসাইনকে হত্যা সময় যে তিনি যা কষ্ট পেয়েছিলেন তারাও নিজেদের পিঠে আঘাত মেরে সেই কষ্ট অনুভবের চেষ্টা করেন। তাই বাংলাদেশের এ ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন বাংলাদেশের ১০শে মহরম যেসব তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। সেখানে প্রচুর সুন্নি মতাবলম্বীরাও অংশ নেয়।
সর্বশেষ কথাঃ আশুরা কী?১০শে মহরম গুরুত্ব ও তাৎপর্য।
আশুরাতে ১০শে মহরম কে সরকারিভাবে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই দিনটিকে সরকারি বিশেষ ঘোষণা এবং তাদেরকে সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।