মেয়েদের নামাজের পার্থক্য।ফজরের নামাজ এর নিয়ম কানুন জেনে নিন-easykhobor

মেয়েদের নামাজের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য রয়েছে আমি জানি।কিন্তু কোন মত টি বেশি গ্রহণযোগ্য বা আমার কোন মত টি গ্রহণ করা উচিত তা নিয়ে দ্বিধায় আছি।ছেলে আর মেয়েদের নামাজের নিয়ম কি এক না ভিন্ন?


মেয়েদের নামাজের সূচিপত্রঃ

মহিলাদের নামাজের পার্থক্যসমূহঃ

মেয়েরা হুবহু পুরুষদের মতো নামাজ পড়বে।

নামাজ আদায়ের পদ্ধতিতেও রয়েছে কয়েকটি পার্থক্য

মেয়েদের নামাজের পার্থক্যসমূহঃ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। সৃষ্টিগতভাবে নারী-পুরুষের দৈহিক সুস্পষ্ট কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। সৃষ্টিগত এ পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন কাজের বিষয়ে ইসলাম নারী-পুরুষের বিধানেও কিছু পার্থক্য রেখেছে।

যেহেতু দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করে নামাজ আদায় করতে হয় সেহেতু নারী-পুরুষের নামাজের বিধানেও রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য। আর সব পার্থক্যের ভিত্তি হচ্ছে পর্দা।

পুরুষ-মহিলাদের নামাজের এ পার্থক্য নতুন নয়। বরং নবী, সাহাবা ও তাবেয়িদের যুগ থেকেই এ পার্থক্য চলে আসছে।

পরবর্তীতে চার ইমামের সবাই মহিলাদের নামাজের পার্থক্য মেনে নিয়েছেন। তাদের কেউই এ পার্থক্যকে অস্বীকার করেননি অথবা এ কথা দাবি করেননি যে, মহিলাদের নামাজে কোনো পার্থক্য নেই।

মেয়েরা হুবহু পুরুষদের মতো নামাজ পড়বে।

মহিলাদের নামাজের প্রথম পার্থক্য হচ্ছে নামাজের স্থানে। পুরুষ মসজিদে নামাজ আদায় করলে নেকি বেশি পাবে। কিন্তু মহিলাদের জন্য মসজিদের জামাতে উপস্থিত হওয়ার চেয়ে নিজের বসবাসের কামরায় নামাজ আদায় করা বেশি ভালো।মহিলাদের নামাজের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য নামাজের পোশাকে। হিজাব বা বড় ওড়না ছাড়া মহিলাদের নামাজ হবে না।

নামাজ আদায়ের পদ্ধতিতে ও রয়েছে কয়েকটি পার্থক্য যথা-

  1. মহিলারা আজান-ইকামত ছাড়া নামাজ পড়বে।
  2. শব্দ করে সূরা-তাকবির বলবে না, বরং নিঃশব্দে পড়বে।
  3. নামাজের শুরুতে হাত উঠানোর সময় মহিলারা দুই হাত ওড়নার বাইরে বের করবে না।
  4. হাত উঠানোর সময় কাঁধের ওপরে উঠাবে না।
  5. বুকের ওপর হাত বাঁধবে।
  6. ডান হাত দিয়ে বাম হাত জড়িয়ে ধরবে না বরং বাম হাতের পিঠের ওপর ডান হাত রেখে দেবে।  
  7. রুকুতে সম্পূর্ণ নত হবে না। বরং সামান্য নত হবে, হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছবে।
  8. রুকুতে হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁক করে হাঁটু ধরবে না বরং আঙ্গুলগুলো পরস্পর মিলিতভাবে হাঁটুর ওপর রেখে দেবে।
  9.  জড়োসড়ো হয়ে সিজদা করবে। কোমর উঁচু করে রেখে সিজদা করবে না।
  10.  সিজদাতে পেট উরুর সঙ্গে লাগিয়ে রাখবে। কনুই মাটিতে বিছিয়ে রাখবে। বাহু শরীরের সঙ্গে লেগে থাকবে। হাঁটুর কাছাকাছি সিজদা করবে। দু’পা ডান দিকে বের করা থাকবে।
  11.  বসার সময়ও দুই পা ডান দিকে বের করে দিবে এবং নিতম্বের ওপর বসবে।
  12. নারী-পুরুষের নামাজের মধ্যকার এই পার্থক্যসমূহ হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস, সাহাবা ও তাবেয়িদের উক্তি এবং আমল দ্বারা প্রমাণিত।

প্রসঙ্গীকঃ

প্রমাণসহ পার্থক্যগুলো পর্যালোচনা করতে গেলে কলেবর অনেক বড় হবে- বিধায় এখানে সংক্ষেপে শুধু বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো। নিকটতম সময়ের ইসলামি স্কলারদের অনেকেই মহিলাদের নামাজের পার্থক্যের ওপর প্রমাণসমৃদ্ধ গ্রন্থ সংকলন করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য সেগুলো দেখা যেতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন