ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড কি।ডেবিট কার্ড সুবিধা অসুবিধা কি।ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের পার্থক্য কি।
বর্তমান বিশ্বে মুদ্রা একটি অনলাইন মাধ্যম ডেবিট কার্ড সবকিছু লেনদেন এখন এই কার্ডের মাধ্যমে নির্ভরশীল বর্তমান ব্যাংকের চেক বই নিয়ে দৌড়াদৌড়ি দিন শেষ একটা স্বাক্ষর এর পেছনে সময় ব্যয় করার সময় নেই বা সবাই এখন ব্যস্ত টাকা আয় করতে এখন সময় ব্যয় হয়,কিন্ত টাকা ব্যয় করতে কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না।
আপনি শুধুমাত্র চাইলে মুহূর্তেই মধ্যেই আপনার জমানো টাকা ব্যয় করতে পারবেন একমাত্র কারণ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত এতটাই সহজ যে যেকোনো জায়গায় যেকোন পরিস্থিতিতে এই কার্ডের মাধ্যমে সুবিধা নিতে পারবেন সামনে হয়তো আরো নতুন কিছু দেখতে পাব বা পারবেন আপনারা ।
ডেবিট কার্ড এর সূচিপত্রঃ
ডেবিট কার্ড কি ?
ডেবিট কার্ড কত প্রকার কি কি?
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ।
ডেবিট কার্ড এর অসুবিধাসমূহ।
সর্বশেষ
আপনারা একে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড হিসেবে না শুনলেও হয়তো দুটি কাজের মধ্যে পার্থক্য কি তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট চলুন আমরা দেখে আসি ডেবিট কার্ড কি? এবং ডেবিট কার্ড কতো প্রকার? ডেবিট কার্ড কিভাবে কাজ করে ?ডেবিট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।
ডেবিট কার্ড কি ?
ডেবিট কার্ড হল আমরা যা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে করে থাকি তাই বুঝি ,শুধু আপনার ব্যাংকে জমানো টাকা আছে আপনি এই কার্ড দিয়ে খরচ করতে পারবেন,এর বাইরে অতিরিক্ত কোন টাকা খরচ করতে পারবেন না, অর্থাৎ আপনি যখন কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলেন তখন যদি শপিং বা কারেন্সি অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে আপনি এটি ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করতে পারবেন ।
একটি এটিএম বুথ থেকে যেকোনো সময় টাকা তুলতে পারবেন আপনারা কোন কেনাকাটা জন্য ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারি আপনি যদি ডেবিট কার্ড নিয়ে যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ওপেন করছেন।সে ব্যাংকের বুথ থেকে মাসে অনেকবার টাকা তুলতে পারবেন আর অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে মাসে সীমিত আকারে টাকা তোলা যায় ব্যাংক বুথ ছাড়া অন্যান্য বুথ থেকে টাকা তুলতে গেলে প্রথমবার থেকে আপনাকে অতিরিক্ত একটা চার্জ কেটে নিবে নিয়ে থাকে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট।
ডেবিট কার্ড কত প্রকার কি কি?
বন্ধরা যে সকল ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে থাকে বাংলাদেশের মানুষ সেগুলোর নাম বা ব্যবহারে প্রায় একই রকম অন্যান্য দেশের একেকটা একেক নামে পরিচিত আমাদের দেশে বিভিন্ন রকমের ডেবিট কার্ড রয়েছে যেমনঃ
ভিসা কার্ড
মাস্টার কার্ড
সিলভার কার্ড
হোয়াইট কার্ড
পার্সোনাল কার্ড
ডেবিট কার্ড কাজ করে কিভাবে আপনারা যখন কোন ব্যাংকের একাউন্ট ওপেন রাখেন তখন আপনার ক্যাশ তোলার জন্য একটি চেক বই প্রদান করে থাকে হয়তো আপনি চেক বই নিয়ে ঘুরে থাকেন তা না হলে আপনি চাইলে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংকে আবেদন করতে পারেন ।এই কার্ডের জন্য কোনো অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা লাগেনা ব্যাংকে আপনি যখন অ্যাকাউন্ট ওপেন করছেন।
তখন এসব তথ্য নিয়ে থাকে ব্যাংক কিছুদিন সময় নিয়ে আপনাকে একটি ডেবিট কার্ড ইস্যু বা আপনার কাছে হস্তান্তর করে হাতে পেয়ে আপনাকে ডেবিট কার্ডের সচল করে নিতে হবে এবং পিন নাম্বার সেট করতে হবে ডেবিট কার্ড করবেন কিভাবে একটি নীতিমালা দিয়ে থাকে পিন সেট করবেন এবং ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক সকল তথ্য প্রদান করবেন আপনার নিশ্চিত সচল হয়ে যাবে।
ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের পার্থক্য হল
ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে একাউন্টে শুধু নিজের জমা করা টাকা ব্যবহার করা যায়। অপরপক্ষে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যে ক্রেডিট লিমিট দিয়ে থাকে, সেই টাকা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ব্যবহার করা যায়।
ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে গ্রাহকের একাউন্টে টাকা জমা থাকলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রাহককে সুদ বা মুনাফা প্রদান করা হয় । অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ডের আউটস্ট্যান্ডিং ব্যালেন্স থাকলে তার বিপরীতে গ্রাহক কর্তৃক ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সুদ প্রদান করতে হয়।
ডেবিট কার্ডে কোন একোয়াটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট (ইএমআই) সুবিধা পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ডে একোয়াটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট (ইএমআই) সুবিধা পাওয়া যায়।
ডেবিট কার্ডে কেনাকাটার পর পুনরায় পেমেন্ট করার প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা পর পুনরায় পেমেন্ট করতে হয়, সেটা গ্রাহক পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারে অথবা সর্বনিম্ম বিল পরিশোধ করতে পারে।
ডেবিট কার্ডধারীকে কোন প্রসেসিং ফি প্রদান করতে হয় না। অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহককে জয়নিং, প্রসেসিং ফি, লেট পেমেন্ট ফি, বার্ষিক ফি প্রদান করতে হয়।
ডেবিট কার্ডের গ্রাহকের কাছে বিল পেপার হিসেবে কোন স্টেটমেন্ট প্রদান করা হয় না। অন্যদিকে, ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকের কাছে স্টেটমেন্ট প্রদান করা হয়। যেখানে লেনদেনের বিস্তারিত বর্ণনা থাকে, বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে, মিনিমাম কত টাকা প্রদান করতে হবে এবং বিল প্রদান করার শেষ তারিখ উল্লেখ করা থাকে।
ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ।
আপনার যদি একজন ডেবিট আঁধারে কার্ড দাড়ি তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডেবিট কার্ডের সুবিধা সমূহ জেনে রাখা খুব জরুরী আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারেন কিকি সুবিধা গুলো পেয়ে থাকেন
ডেবিট কার্ড দিয়ে আপনি যে কোন সময় আপনার ইচ্ছে মত যে কোন জায়গায় এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন ।আপনার নিজস্ব অর্থ আপনি খরচ করছেন তাই কারো কাছে দায়বদ্ধ নয়। খুব সহজে বহনযোগ্য তাই সবার কাছে জনপ্রিয়।
ডেবিট কার্ডের মাসী বাবা শেখো দেখবে কোন চার্জ বা কার্ড ফি দিতে হয় না। আপনি ব্যাংক থেকে ডেবিট কার্ড অল্প সময়ের মধ্যে পেয়ে যাবেন সেখানে সেভিংস একাউন্ট ওপেন করতে হয় ব্যাংকে।ডেবিট কার্ডের খরচের উপর কোন ওষুধ নেই কারণ আপনার ময়দান আপনি খরচ করছেন তাই।
ডেবিট কার্ড অর্থ নিরাপদ নিরাপত্তা অনেক বেশি আপনার ডেবিট কার্ড যদি চুরি হয় তাও কোন ভয় নেই যতক্ষণ না আপনি আপনার পিন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করছেন বা অন্য কাউকে বলেছেন সেজন্য আপনাকে যে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করতে হবে।
ডেবিট কার্ড এর সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ।
আপনারা এতক্ষণ সুবিধা নিয়ে জানছেন এবার কিছু ডেবিট কার্ডের অসুবিধা গুলো জেনে নিন এবার আপনারা দেখবো দেখবেন একটি ডেবিট কার্ড থাকলে তা থেকে কি পরিমান অসুবিধা পড়তে পারেন চলুন আমরা দেখে আসি।
আপনি নিজস্ব ব্যাংক থেকে মাসে 5 বার পাতার অধিক বার বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন না ব্যাংক থেকে মাসে তিনবার টাকা তোলা যাবে শুধুমাত্র আপনি টাকা তোলার আগে কত টাকা একাউন্টে আছে তার চেক করার কোন ব্যবস্থা নেই
এস শুধুমাত্র আপনার নিজস্ব মূলধন থেকে খরচ করতে পারবেন মূলধনের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করার কোন সুযোগ সুবিধা নেই।
এসএমএস এর কোন সেবা নেই অসুবিধা নেই যার কারণে অনেক সময় তাদের ব্যাংকের অফার সমূহ জানতে বারণ করা সম্ভব হয় না আপনার।
সর্বশেষ
ডেবিট কার্ড দিয়ে আপনি সহজেই টাকা উত্তোলন এবং খরচের জন্য ব্যবহার করতে পারেন শুধুমাত্র হিসেব-নিকাশ কাজে ব্যাংক চালু করে থাকে তাই খুব কম মানুষই এখন ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যাই তাই এসব ডেবিট কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছে যে কোন সময়ে ডেবিট কার্ড নিয়ে আজকের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে শেয়ার বা কমেন্ট করে জানাবেন