মহিলাদের তারাবির নামাজের নিয়ম।তারাবির নামাজ কত রাকাত?

খোশ মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আপনাদের জন্য এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো তারাবির নামাজ সম্পর্কে। আপনারা জানেন যে, রমজান মাসে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদতের মধ্যে তারাবির নামাজ। সারা দিন রোজা করে আল্লাহ্ ইবাদাত করার জন্য এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ পড়ে থাকে সকল মুসলমান

মহিলাদের তারাবির নামাজের নিয়ম।

তারাবির নামাজের সূচিপত্রঃ


নবি করিম (সাঃ) সাহাবায়ে কেরামতের মত নিয়ে বিশ রাকাত তারাবি পড়েছেন।মাহে রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে 'তারাবি নামাজ' বলা হয়। আরবি 'তারাবিহ' শব্দটির মূল ধাতু 'রাহাতুন' অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা।

মহিলাদের তারাবির নামাজের নিয়ম?

আপনারা যারা আমাদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন যে, মেয়েদের ক্ষেত্রে তারাবির নামাজে কোন পার্থক্য আছে কিনা। আজকে আমরা আপনাদের সে সকল প্রশ্নের উত্তর দিব। মহিলাদের জন্য তারাবির নামাজ অন্যান্য সব নামাজ ঘরে পড়া।

শরীয়তের বিধান এর বিপরীত করা জায়েয নয়। বিশুদ্ধ হাদিসের রয়েছে, হযরত মুসা আলাই সাল্লাম যখন মহিলাদের মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিলেন, তখন মহিলারা যেন ঘরে নামাজ পড়ে।

তাই রাসূল (সা.)-এর অবর্তমানে তার প্রিয় সাহাবিগণ বিশেষ করে হজরত ওমর ও হজরত আয়েশা (রা.) মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন। যার অনুসরণে দেড় হাজার বছর পর্যন্ত কোনো আলেম মহিলাদেরকে

মসজিদে এসে  নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহিত করেননি এবং এর জন্য কোনো ব্যবস্থাও করেননি। আপনার অনেকে জানতে চান তারাবির নামাজের কোন নিয়ম আছে কিনা। তবে আমরা উল্লেখ করব যে, অন্যান্য নামাজের মতই তারাবির নামাজের নিয়ত এবং দোয়া রয়েছে।

পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিভিন্ন ইবাদত করে থাকেন। সংযমের এই মাসে তারাবির নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সেটা হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা। বিশ্বনবীর নিজে তারাবির নামাজ আদায় করেছেন

বন্ধরা পবিত্র রমজান মাসে বিশেষ একটি ইবাদত তারাবি। তারাবির নামাজ বছরের আর কোনো মাসে নেই। তারাবি আরবি শব্দ ‘তারবিহাতুন’-এর বহুবচন। এর অর্থ হলো- আরাম করা ও বিশ্রাম করা। ইসলামি বিধান অনুযায়ী, তারাবির নামাজে প্রতি চার রাকাত পর পর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তাই এ নামাজকে তারাবির বা প্রশান্তির নামাজ বলা হয়।

রমজান মাসে তারাবির নামাজের রাকাত?

রমজান মাসে বিশেষ একটি ইবাদত তারাবি। তারাবির নামাজ বছরের আর কোনো মাসে নেই। তারাবি আরবি শব্দ ‘তারবিহাতুন’-এর বহুবচন। এর অর্থ হলো- আরাম করা ও বিশ্রাম করা। ইসলামি বিধান অনুযায়ী, তারাবির নামাজে প্রতি চার রাকাত পর পর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তাই এ নামাজকে তারাবির বা প্রশান্তির নামাজ বলা হয়।

তারাবির নামাজ কত রাকাত ?

তারাবির নামাজ কত রাকাত?
তারাবির নামাজ ২০ রাকাত। আট রাকাতের মধ্যে তারাবির নামাজকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা অনুচিত। পবিত্র রমজান মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল এই তারাবির নামাজ। এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) তিন দিন এই নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেছেন। তিনি নিয়মিত সম্মিলিত ভাবে জামাতের সঙ্গে তারাবি নামাজ আদায় করলে, তা ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই পুরো রমজানে তিনি জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করেননি।

তারাবির নামাজ পড়ার প্রচলন কবে থেকে?

নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তারাবির নামাজ পড়ার প্রচলন ঘটে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর (রা.)-এর যুগে। সাহাবায়ে কিরামের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা সুন্নাত হিসেবে সাব্যস্ত হয়। তখন আর এটি ফরজ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। কেননা মহানবী (সা.)-এর ওফাতের মাধ্যমে ওহির পথ বন্ধ হয়ে যায়।

তাবেঈ ইবনে আবি জুবাব (রহ.) বলেন, ‘ওমর (রা.)-এর যুগে রমজানের তারাবি ছিল ২৩ রাকাত।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৭৩৩)

তাবেঈ ইবনে আবি জুবাব (রহ.) বলেন, ‘ওমর (রা.)-এর যুগে রমজানের তারাবি ছিল ২৩ রাকাত।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৭৩৩)

পৃথিবীর প্রথম সহিহ হাদিসগ্রন্থ ‘মুয়াত্তা মালিক’সহ অন্যান্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, তাবেঈ ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রহ.) বলেন, ‘উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর যুগে লোকেরা রমজানে ২৩ রাকাত তারাবি পড়তেন।’ (মুয়াত্তা মালিক, হাদিস : ৩৮০; আসসুনানুল কুবরা, বায়হাকি, হাদিস : ৪২৪৯)

মক্কা-মদিনায় ২০ রাকাত তারাবি নামাজ ?

এ ধরনের বহু সহিহ বর্ণনার আলোকে ও সাহাবি-তাবেয়িনের যুগ থেকে চলে আসা অবিচ্ছিন্ন কর্মের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়, উমর (রা.)-এর যুগে মসজিদ-ই-নববীতে ২০ রাকাত তারাবি হতো। এখনো মক্কা-মদিনায় ২০ রাকাত তারাবি হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই সুন্নাত নামাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বলা যায়, এটি সাহাবায়ে কেরামের সুন্নাত।

সুতরাং তারাবির রাকাত নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। কেননা যেখানে আট রাকাতের কথা আছে, সেটি মূলত তাহাজ্জুদ সংক্রান্ত হাদিস। মহানবী (সা.) রমজানে ও রমজানের বাইরে প্রতি রাতে আট রাকাত তাহাজ্জুদতিন রাকাত বিতরের নামাজ পড়তেন। মহান আল্লাহ আমাদের উপলব্ধি ও আমল করার তাওফিক দান করুন।

সর্বশেষ কথাঃ

বর্তমান সময়ে মক্কা-মদিনায় ২০ রাকাত তারাবির নামাজের জন্য প্রচলিত রয়েছে। আমাদের দেশেও  তারাবির নামাজ ২০ রাকাত আবার কোথাও ৮ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ে থাকে।আট রাকাতের মধ্যে তারাবির নামাজকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা অনুচিত। পবিত্র রমজান মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল এই তারাবির নামাজ। এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন