টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন কি? ফেসবুকে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সেটআপ।জি-মেইল কি

বন্ধরা অধিক নিরাপত্তার জন্য আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু ।আপনি যদি জিমেইলে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন 2- step verificatio চালু করে রাখেন ,তবে ফেসবুকেও এই একই ধরনের সুয়োগ সুবিধা রয়েছে।

সূচিপত্রঃ টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন।

ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পর মোবাইলে প্রাপ্ত কোড দ্বারা অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হবে । গুগোল এই সেবাটি বেশ কিছুদিন আগে থেকে গুগোল চালু করেছে টু - স্টেপ ভেরিফিকেশন, চালু করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন সবাই।

জি-মেইলে কি?

জি-মেইল কে গুগল একাউন্টও বলা হয় এবং তার কাজ অন্য সব ইমেইলের মতই। এর ব্যবহার লিখে শেষ করা যাবে না। আর আপনি যদি এন্ড্রোয়েড ফোন ব্যবহার করেন তাহলে জিমেইল একাউন্ট ছাড়া প্রায় চলেই না। আপনি যেসব ক্ষেত্রে জিমেইল ব্যবহার করতে পারেন।

 ১.জনপ্রিয় সামাজিক সাইট ফেসবুক এবং টুইটার একাউন্ট খুলতে।

 ২.জনপ্রিয় গুগলে লগইন করতে অবশ্যই জিমেইল একাউন্ট লাগবে।

৩.আপনি জিমেইল একাউন্ট দিয়ে ইউটিউব একাউন্টও খুলতে পারেব। 

৪.এন্ড্রোয়েড এর প্লে স্টোর থেকে এপস নামানোর জন্য অবশ্যই জিমেইল একাউন্ট লাগবে। এছাড়াও এন্ড্রোয়েডের বিভিন্ন গেইমস এর ডাটা প্লে গেইমস এর মাধ্যমে সেইভ করে রাখা যায়। প্লে গেইমসের লগ ইনের জন্য অবশ্যই জিমেইল লাগবে। যেমন ক্ল্যাস অফ, ক্ল্যানের ভিলেজ হারিয়ে না যাওয়ার জন্য জিমেইল ব্যবহার করা যায়।

৫. Android Drive ও Dropbox একাউন্টের সাইন ইন করার জন্যও জিমেইল ব্যবহার করা যায়।

৬.এছাড়াও বিভিন্ন একাউন্ট খুলতে পারেন। বি.দ্র. জিমেইলের ব্যবহার বলে শেষ করা যায় না। আমি অল্প জনপ্রিয় কিছু ব্যবহার তুলে ধরলাম মাত্র।

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন ফেসবুক ও জি-মেইল?

টু স্টেপ ভেরিফিকেশন মূলত দুই ফ্যাক্টর আর্টিকেল এফ এ এর সহজ একটি নাম তবে বোঝার বোঝার সুবিধার্থে এটা কি আমরা টু-সপ ভেরিফিকেশন নাই বুঝে থাকি।

টু স্টেপ ভেরিফিকেশন মূলত একটি জান আমাদের জানতে হবে multi-factor অথেন্টিকেশন এম এফ এ বিষয়টি সম্পর্কে আমরা বলতে পারি সহজ ভাষায় multi-factor অথেন্টিকেশন হচ্ছে কোন একটি ডিজিটাল একাউন্ট প্রবেশের জন্য ব্যবহারকারীকে একাধিক উপায় যাচাই প্রক্রিয়া।

 multi-factor অথেন্টিকেশন ?

আপনি ফেসবুক বা গুগলে কোন অ্যাকাউন্ট লগইন করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে যদি আপনি লগইন করতে পারেন তাহলে সেটি multi-factor অথেন্টিকেশন বলা হবে না আপনি যদি পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর আরো এক বা একাধিকবার অথেন্টিকেশনএকাউন্ট যে তার কোনো না কোনো প্রমাণ দিতে হয় তাহলে সেই পদ্ধতিকে বলা হবে multi-factor অথেন্টিকেশন।

multi-factor অথেন্টিকেশন একটি প্রকার বা বিশেষ অবস্থান বলা যায় টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন। আপনি কোন একাউন্টে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড এরপর একাধিক ধাপ পার করার করে আসলে খুব বিরক্তকর এবং সময় সাপেক্ষ কিন্তু আবার নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ডও যথেষ্ট নয়,

টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন কি

আপনি পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর শুধুমাত্র আরেকটি স্টেপ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করার অপেক্ষাকৃত কম ঝামেলার তাই এতে নিরাপত্তা অনেক জোরদার হয় আর এই পদ্ধতিকে বলা হয় টু স্টেপ ভেরিফিকেশন। আপনি এই পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর আরেকটি কোড যাওয়ার হয় ব্যবহারকারী কাছ থেকে যেটি তার ফোনে কল বা মেসেজ কিংবা ইমেইলের মাধ্যমে কা তখনই পাবে আসে ওই সিস্টেমে থেকে

জি-মেইলে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন এর কিছু ধাপসমূহঃ

  • ধাপ ১) জিমেইলে লগ-ইন করে ডানে মেইল ঠিকানায় উপরে ক্লিক করে একাউন্ট সেটিং এ ক্লিক করুন
  • ধাপ ২) সিকিউরিটি অংশ ইউজার  সেটার ভেরিয়েশন টু স্টেপ ভেরিফিকেশন to step verificatio এ ক্লিক করুন।
  • ধাপ ৩) টু স্টেপ ভেরিফিকেশন এ পেজেঃ Setup 2 step verification বাটনে ক্লিক করুন।
  • ধাপ ৪) আপনি এখন ড্রপডাউন থেকে টেক্সট মেসেজ এসএমএস আর ভয়েস কল নির্বাচন করুন।
  • ধাপ ৫) এদের মোবাইল ও ল্যান্ড ফোন নাম্বার গুগোল ক্যান সেন্ড কোড এর নিচে ড্রপডাউন লিস্ট ক্লিক করে বাংলাদেশে নির্বাচন করুন।
  • ধাপ 6 ) এবার ডান অংশে মোবাইল নাম্বার দিন যেকোনো অপারেটর মোবাইল নাম্বার এবং সেন্ড বাটনে ক্লিক করুন এবার মোবাইলে প্রাপ্ত কোড নচে বক্সে লিখে ভেরিফাইড বাটনে ক্লিক করুন এবং নেক্সট বাটনে ক্লিক দেন তাহলে নিশ্চিতকরণ পেজে আসবে। এরপর নেক্সট Next বাটনে ক্লিক করুন।
  • ধাপ ৭ ) যদি মোবাইল হারিয়ে যায় তাহলে অ্যাকাউন্ট লগ-ইন করা যাবে না। তাই বিকল্প দশটি কোড দেওয়া আছে,এই পেজে প্রত্যেকটি কোড একবার করে ব্যবহার করা যাবে,পরবর্তীতে নতুন কোড পাওয়া যাবে। তবে বিকল্প হিসাবে আরেকটি মোবাইল নাম্বার যুক্ত করা যাবে,এখানে আই হ্যাভ, এ কঁপি অফ মাই ব্যাকআপ ভেরিফিকেশন কোড( I have, a copy of my backup verification code) এ ক্লিক করে নেক্সট Next বাটনে ক্লিক করুন।
  • ধাপ ৮ ) এখানে আরেকটি জি-মেইল নাও বা মোবাইল নাম্বার ভেরিফাইড করে নেক্সট Next করুন।
  • ধাপ ৯ ) এবার গুগোল এ লগইন করে দেখুন তাৎক্ষণাৎ মোবাইল করে এসেছে মুক্ত করে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন সভে করুন এখান থেকে জিমেইলে লগইন করার সময় পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার মোবাইলে একটি কোড আসবে যা পরবর্তী পেজে লিখে লগইন সম্পন্ন করতে হবে এসএমএস না আসলে মাধ্যমিক পাওয়া যাবে মোবাইল কাছে না থাকলে আদার ওয়ে টু গেট ভেরিফিকেশন কোড। করে ক্লিক করে বিকল্প মোবাইল কোড পাওয়া যাবে অথবা পড়বো সংরক্ষিত কোড দ্বারা প্রবেশ করা যাবে।
  • ধাপ ১০ ) এখানে ট্রান অফ ট্রান অন টুইস্ট ভেরিফিকেশন বাটনে ক্লিক করলে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন সক্রিয় হবে এবং গুগোল একাউন্ট সাইন আউট হবে।

পরিশেষে একটি কথা হল আমি বলতে চাই ইউটিউব ভিডিও থেকে দেখে দেখে এগুলো শিখে নিতাম বিস্তারিত আপনাদের কাছে তুলে ধরেছি আশা করি হান্ডেট পার্সেন্ট ১০০% গুরুত্ব দিয়ে বলতে পারি, এগুলো জন্য আপনি ভালো ফলাফলের মাধ্যমে হয়েছে এবং চেষ্টার ফলে শুধুমাত্র ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে বেসিক থেকে এডভান্স লেভেলে কাজ গুলোর সমাধান করতে পারবেন সবাই।

সর্বশেষ কথাঃ

প্রযুক্তি বিষয়ে আরো ভালো কিছু পেতে চাইলে নিয়মিত পড়ন এবং সকল বিষয়ে আপডেট পেতে ফেসবুক আইডি ফলো করে রাখুন।টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন কি? ফেসবুকে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সেট আপ।জি-মেইল কি । সকল বিষয়ে জানতে আরো পডুন এবং নিচে শেয়ার বা কমেন্ট করে জানাবেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন